

পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বাদ দিয়ে নিজেদের তত্বাবধানে আসন্ন বিপিএল আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি। তবে দলগুলোর জন্য নেওয়া হচ্ছে স্পন্সর, পার্টনার। বিসিবির তত্বাবধানে বিপিএলের আসন্ন আসরকে বলা হচ্ছে বিশেষ এডিশন। যেখানে পুরো তত্বাবধানে থাকছেন বিসিবি সভাপতিই।

আজ (৭ অক্টোবর) মিরপুরে বিপিএল ইস্যুতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে বিসিবির দেওয়া ঘোষণার পর বিপিএল আয়োজনে আসে নাটকীয়তা। তবে নিজেদের তত্বাবধানে অনুষ্ঠিতব্য বিপিএলের আসন্ন আসর কেবলই একবারের জন্য বলছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান।
এ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি এটা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। এটা স্পেশাল এক এডিশন। আর এটা একটা আসরেই হবে। আমরা যখন ইওআই দিয়েছিলাম সেখানেও উল্লেখ করেছিলাম যে এটা কেবল ১ বারের জন্য।’
পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বাদ দিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারটি ভালো চোখে দেখেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকলেও আগ্রহ দেখায়নি কেউই, ফলে নেওয়া হচ্ছে নতুন স্পন্সর পার্টনার। সেক্ষেত্রে বিপিএল ব্যয়ভার বহন সম্ভব কিনা জানতে চাইলে জালাল ইউনুস বলেন, ‘দেখেন একটা ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়েছিলো ওদের, ঐ ফ্লোর প্রাইস মিট করতে বলা হয়েছিলো। সবাই মিট করেছে যারা অংশ নিয়েছে। তো বোর্ড এখানে কন্ট্রিবিউট করবে কিনা তা এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
খেলোয়াড়দের পেছনে খরচ করতে হবে বলে বিসিবি বাড়তি ব্যয় বহন করতে হতে পারে উল্লেখ করে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্লেয়ার নেওয়ার ক্ষেত্রেও বাড়তি খরচ হতে পারে। ওরা যে ফ্লোর প্রাইস নিয়ে এসেছে সেটার সাথে বোর্ড অ্যাড করবে কিনা সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা যখন ওদের সঙ্গে বসবো তখন এগুলো সলভ করবো।’
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বিপিএল ইস্যুতে বিপিএল গভর্নিং কমিটির কাউকেই গণমাধ্যমের সামনে দেখা যায় না। বিপিএল ইস্যুতে যেকোন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বারবার বিসিবি সভাপতিকে দেখিয়ে দেন বোর্ড কর্তারা। বিপিএল গভর্নিং কমিটি থাকার পরেও বিসিবি সভাপতিই কেন সামনে আসেন বারবার? জানতে চাইলে জালাল ইউনুস বলেন, ‘সভাপতি নিজেই এবার দায়িত্ব নিয়েছেন। উনি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গে বসবেন।’