

বয়স ত্রিশ ছুঁই ছুঁই , জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলেছেন ২০১৬ সালে। পারফরম্যান্স একেবারে যাচ্ছেতাই না হলেও জাতীয় দল থেকে সেই যে ছিটকে গেলেন আর ফিরতে পারছেন না। ঘরোয়া লিগে নিয়মিত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ফিটনেস নিয়েও বেশ সচেতন আল আমিন হোসেন। আজ (৬ অক্টোবর) মিরপুরের বিপ টেস্টেও তুলেছেন ১২.৩ পয়েন্ট যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১। অথচ এরপরেও অসন্তুষ্ট আল আমিন।

আজ যে ৩৫ জনের মত ক্রিকেটার বিপ টেস্টে অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্কোর (১২.৩) তুলেছেন আল আমিন হোসেন। কিন্তু এরপরেও বিপ টেস্ট শেষে আজ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আক্ষেপই ঝরেছে এই পেসারের কন্ঠে। মুলত তার লক্ষ্য ছিল আরও বেশি স্কোর তোলার, সেটা তুলতে পারেননি বলেই হতাশ।
বিপ টেস্টে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার দুই দফা পরীক্ষা দিয়েও ছুঁতে পারেননি ১১ স্কোর। কিন্তু সর্বোচ্চ স্কোর তুলেও হতাশার কারণ জানিয়েছেন আল আমিন, ‘আমি আসলে হতাশ। সাধারণত ১২, ১০ বা ৮ দেই। আমার লক্ষ্য ছিল ১৩। পায়ে একটু ব্যাথা ছিল। তাই ১২ দিতে পেরেছি। আপাতত খুশি এই ভেবে যে ১১ তে পাশ ছিল সেটা দিতে পেরেছি।’
বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়েই যেখানে হতাশার শেষ নেই সেখানে জাতীয় দলের বাইরে থেকেও কীভাবে নিজেকে এতটা ফিট রাখেন আল আমিন? সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নে আল আমিনের উত্তর, ‘মাঠে গিয়ে বোলিং করার ফিটনেস বা ম্যাচ ফিটনেস ভিন্ন জিনিস। এই ফিটনেসটি মেইনটেইন করতে চাইলে সারা বছর কাজ করতে হবে। এটি যদি কেউ মেইনটেইন করতে পারে তাহলে মাঠে ভালো পারফর্ম করা সম্ভব।’
এদিকে বিপ টেস্টের আগে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার ব্যাপারে আল আমিনের রয়েছে পরামর্শ, ‘আজ আমি ১২ দিয়েছি। আগামী বছর মানদন্ডটাও হয়তো বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে আমার কি আরও ভালো করতে হবে কিনা সেটাও জানা দরকার। কারণ বিপ টেস্টের অল্প কয়দিন আগে আপনি যদি বলেন ১১ দিতে হবে ১২ দিতে হবে সেটা সবার জন্য কঠিনই। এ ক্ষেত্রে একটু আগে থেকে জানালে সবাই নিজেদের মত করে প্রস্তুতি নিতে পারে।’