

বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে যেকজন ক্রিকেটার নিয়মিত পারফর্মার তাদের একজন মার্শাল আইয়ুব। আরও একটি জাতীয় লিগ সামনে রেখে নানা বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা কথা বলেন ঢাকা মেট্রোর এই ক্রিকেটারের সাথে। মিরপুরে একাডেমি মাঠে গতকাল(৫ অক্টোবর) অনুশীলন শেষে গল্প- আড্ডার ফাঁকে কথা বলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের মান, উইকেট ব্যাটসম্যানদের করণীয় নিয়ে।
তার ব্যাটিং স্টাইলে অনেকে রাহুল দ্রাবিড়ের ছাড়া খুঁজে পেত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়ম রান করেন, জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে ঘরোয়া লিগের পারফরম্যান্স টেনে আনতে পারেননি। দল থেকে বাদ পড়ার পর কেটে গেছে পাঁচ বছর, ঘরোয়া ক্রিকেটটা আসলে কিসের আশায় খেলেন? জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন কি এখনো দেখেন? মার্শাল বলছেন,
‘জাতীয় লিগটা সবসময় আমরা যারা আছি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পারফরম্যান্স দেখানোর জন্য জাতীয় লিগটা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমরা আসতে পারি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেন রানও করেন প্রচুর। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট নিয়ে ওঠা প্রশ্নে ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের উত্তর,
‘একদম গত কয়েকবছরের কথা বললে দেখা যায় মিরপুরের উইকেটটা স্পিন সহায়ক হয়। আর আমাদের জাতীয় লিগ বলেন বিসিএল বলেন চেষ্টা করা হয় ঘাসের উইকেট দেওয়ার, সবজায়গায় হয়তো পাওয়া যায়না। যেমন বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট আবার ফতুল্লাতেও ভালো উইকেট হয়। আসলে উইকেটটা স্পোর্টিং হওয়া উচিত যেন বোলারদের জন্য সুবিধা হয় এবং ব্যাটসম্যানরাও রান পায়।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফর্মাররা জাতীয় দলে ব্যর্থ হন হরহামেশা, দুই জায়গার পার্থক্যটা আসলে কোথায়? জানতে চাইলে মার্শাল আইয়ুব বলেন,
‘উইকেটতো একটা বিষয়ই, এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করার জন্য আমাদের ব্যাটসম্যানদেরও আরও মনযোগী হতে হবে। ঘরোয়া লিগে বিজয় যেমন রান করাটাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে এটা যদি ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রয়োগ করতে পারে তবে সবার জন্যই ভালো।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। মার্শালকেও করা হয়েছে একই প্রশ্ন। কদিন আগে ঢাকা মেট্রো কোচ তালহা জুবায়ের বলেছেন জাতীয় লিগ কখনোই পিকনিক লিগ ছিলনা। মার্শাল আইয়ুবও অনেকটা সেরকম উত্তরই দিলেন,
‘দেখেন জাতীয় লিগটা আমার কাছে মনে হয় খুব প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হয়। মিরপুরে স্পোর্টিং উইকেট হয় রেজাল্টও আসে, আমার মনে হয় বগুড়া, রাজশাহীতেও এমম উইকেট দিলে আরও বেশি ফল আসবে।’