

মাথার উপরে ৩৯৫ রানের বোঝা, চতুর্থ দিনের শেষভাগে প্রথম ইনিংসে অনবদ্য এক ইনিংস (১৬০) খেলা ডিন এলগার ফিরে যান সাজঘরে। ১ উইকেটে ১১ রান নিয়ে চতুর্থ দিন পার করে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা।

শেষদিনে জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হতো ৩৮৪ রান, ভারতের নিতে হতো ৯ উইকেট। ভারতের মাটিতে স্পিন সহায়ক উইকেটে ৫ম দিনে ভারতের জন্যই জেতার সম্ভাবনা বেশি ছিলো। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে সুযোগ ছিলো সারাদিন বাকি থাকা ৯ উইকেটের অন্তত ১ টি বাঁচিয়ে দিন শেষ করার। তাহলে ড্র হতো ম্যাচ।
এমনটি হয়নি, মোহাম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজার বোলিংয়ে। দেড় সেশনেই অলআউট হয়েছে ফাফ ডু প্লেসিসের দল। অবশ্য এর আগেই অলআউট হয়ে যেতে পারতো যদি ৯ম উইকেটে সেনুরান মুতুসামি ও ড্যান পিয়েট ৯১ রান যোগ না করতেন। ১০ নম্বরে নামা ড্যান পিয়েট দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৪৯*) রান আসে ৭ নম্বরে নামা সেনুরান মুতুসামির ব্যাট থেকে।
পেসার মোহাম্মদ শামি নেন ৫ উইকেট, যার মধ্যে ৪ টিই বোল্ড। রবীন্দ্র জাদেজা নেন ৪ উইকেট। বাকি থাকা উইকেট যায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দখলে, যা কিনা অশ্বিনের টেস্ট ক্রিকেটের ৩৫০ তম উইকেট।
প্রথম ব্যাটসম্যান হিসাবে ওপেনার হিসাবে টেস্ট অভিষেকে জোড়া সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মা (১৭৬, ১২৭) পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারত ম্যাচটি জিতেছে ২০৩ রানে। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো ভিরাট কোহলির দল। পুনেতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ১০ অক্টোবর।