

দলের জয়ের জন্য দরকার ৫ রান, মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরির জন্য ৭ রান। ৩৭ তম ওভারের ৪র্থ বলে মারলেন চার, দলের জয়ের জন্য লাগে ১ রান, তিন অঙ্কের রান করতে মাহমুদুলের লাগে ৩। পরের বলে হাঁকালেন তাঁর ইনিংসের প্রথম ছক্কা। আগের ম্যাচে ৯৯ রান করে আউট হওয়া জয় এদিন সেঞ্চুরি করেই মাঠ ছাড়েন।

নিউজিল্যান্ডে এসে কিউই যুবাদের বিপক্ষে টানা তৃতীয় ওয়ানডে জিতলো টাইগার যুবারা। তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৩.১ ওভার ও ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেছে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের।
লিঙ্কনের বার্ট সাটক্লিফ ওভালে টসে জিতে আগে নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলি।
তৃতীয় ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। স্বাগতিক অধিনায়ক হোয়াইটকে ব্যক্তিগত ৬ রানের মাথায় আকবর আলির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি। অপর ওপেনার বিশভাকা ১০ রান করে রান আউট হন। চারে নামা ক্লার্কও ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁকে অভিষেক দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হাসান মুরাদ।
৩৭ রানেই ৩ উইকেট হারানো দলকে সম্মানজনক এক স্কোর এনে দেন তিনে নামা লেলম্যান। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ১৩৩ বলে ৭ চার ও ৫ ছয়ে ১১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাকিরা খুব বেশি রান করতে না পারাতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২৩ রান করেই থামতে হয় তাঁদের।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ২ টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব, অভিষেক দাস ও হাসান মুরাদ। শরিফুল ইসলাম নেন ১ উইকেট।

২২৪ রানের সহজ লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা তানজিদ হাসান তামিম ও অনিক সরকারের উদ্বোধনী জুটি স্থায়ী হয়নি। তৃতীয় ওভারেই ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন অনিক।
তবে আগের ম্যাচে ফিফটি তুলে নেওয়া তানজিদ হাসান তামিম আজও ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ৪৭ বলে ৭ চারে ৫০ পূর্ণ করেন তামিম। শেষমেশ ৬৪ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৬৫ রান করে আউট হন তামিম।
এরপর আর কোন বিপদ ঘটতে দেননি মাহমুদুল হাসান জয় ও তৌহিদ হৃদয়। ৫৯ বলে ৮ চারে ৫১ রান করে তৌহিদ হৃদয় ও ৯৫ বলে ১৬ চার ও ১ ছয়ে ১০৩ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল হাসান জয়।