

জাতীয় লিগ খেলতে হলে এবার বিপ টেস্টে পেতে হবে নূন্যতম ১১, আগেরবার যা ছিল ৯। এ নিয়ে বেশ শঙ্কা প্রকাশ করেছিল ক্রিকেটাররা। আজ (১ অক্টোবর) বিপ টেস্টের পর অবশ্য উতরে গেছেন অনেকেই, ব্যর্থও হয়েছেন কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। বিপ টেস্টের পর নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেছেন তারা সন্তুষ্ট, বিশেষ করে ক্রিকেটাররা ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন বলেই তিনি খুশি।

মিরপুরে ইনডোরে আজ (১ অক্টোবর) বিপ টেস্ট হয়েছে কয়েকজন ক্রিকেটারের। বিপ টেস্ট শেষে হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘এটা গতবারও ছিল, এবারও আগে থেকেই বলা হয়েছে। তবে মানদণ্ডটা আগের বারের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানোর কারণেই একটু আলোচনা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই এটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্যই ভালো।’
গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় লিগ নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ের পরই হাবিবুল বাশার জানিয়েছেন বিপ টেস্টে একটা মান বজায় রাখার মাধ্যমে দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে আনতে চাচ্ছেন পরিবর্তন। আজও কথা বললেন একই সুরে, ‘আমরা একটা সংস্কৃতি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আশা করি সবাই এটা বুঝতে পারবে। আমাদের ক্রিকেটাররা এ জিনিসটা বুঝতে পারছে, এতেই আমি খুশি।’
ঢাকার বিপ টেস্টের ফল সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি যোগ করেন,’ঢাকার বাইরের রেজাল্ট গুলো আমরা এখনো পাইনি, তবে ঢকার মধ্যে যারা দিয়েছে তাদের মধ্যে ৯৬ ভাগই পাশ করেছে। আসলে ঘরোয়াতে আমরা একটা কাঠামো তৈরির চেষ্টা করছি যার প্রথম ধাপ ফিল্ডিং ও ফিটনেস।’
যারা উতরাতে পারেনি তাদের ক্ষেত্রে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে উত্তর দিলেন আগের মতই, ‘এই সুযোগটা সবার জন্যই থাকছে। যতক্ষণ সে এই লেভেলে পৌঁছাতে না পারছে আমরা তার বিপ টেস্ট নিবো, দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার যতবারই লাগে। আসলে আমরা যদি বলে দিতাম যে লক্ষ্যটা এমনি এমনি দেওয়া, এর নিচে দিলেও নিবো সেক্ষেত্রে এতটা গুরুত্ব দিতনা ক্রিকেটাররা। এখন কি হল সবাই অন্তত একটা মার্ক পর্যন্ত গিয়েছে, চেষ্টা করেছে। বুঝতে পেরেছে যে তাদের উন্নিতি করতে হবে।’