

জাতীয় লিগ খেলতে হলে বিপ টেস্টে পেতে হবে নূন্যতম ১১, আগেরবার যা ছিল ৯। প্রধান নির্বাচকের এমন মন্তব্যের পরই ক্রিকেটারদের মধ্যে এ নিয়ে নানা আলোচনা, বেশিরভাগ ক্রিকেটারই প্রকাশ করেছেন শঙ্কা। আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আসন্ন জাতীয় লিগ নিয়ে বোর্ড সভার পর নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন এ নিয়ে কথা বলেন সংবাদ মাধ্যমের সাথে। ঘরোয়া ক্রিকেটের মানোন্নয়নের লক্ষ্যেই ফিটনেস নিয়ে বেশ সচেতন বিসিবি জানান সাবেক অধিনায়ক।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রতিনিয়তই। আর এ কারণেই ঘরোয়া ক্রিকেটকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ বিসিবির। যার প্রথম ধাপেই ক্রিকেটারদের ফিটনেস উন্নতিতে নজর। এ প্রসঙ্গে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে ভালো করার চেষ্টা করছি। শুধু আমরা না, সবাই করছে। গতবার ৯ ছিল এবার ১১ করা হয়েছে। ক্রিকেটের ভালোর জন্যই এসব পরিবর্তন। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে যদি আরও উপরে দেখতে চান তবে ফিটনেস ও ফিল্ডিংয়ে বেশ উন্নতি করতে হবে।’
গত কয়েকদিনে ঘরোয়া লিগের অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটারই গণমাধ্যমকে জানিয়েছে বিপ টেস্টের পাশাপাশি তারা পারফরম্যান্সটাও বিবেচনায় দেখতে চায়। হাবিবুল বাশার জানিয়েছে তাদের ভাবনা, ‘আমি মনে করি যারা পেশাদার ক্রিকেটার তাদের সবারই এটা মানা উচিত। তবে যারা নিয়মিত পারফর্মার, আমি বয়স উল্লেখ করবনা। তারা যদি বেধে দেওয়া মানদন্ড অতিক্রম করতে না পারে তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিল করা হবে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে একদম খারাপ করলেও আমরা নিবো, আপনাকে একটা নূন্যতম মান বজায় রাখতে হবে। আমি স্কোর কত হলে বিবেচনায় নিবো সেটা বলবনা, অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছিনা ৯, ১০ কিংবা ১০.৫ পেলেই নিচ্ছি কিনা।’
ক্রিকেটারদের দাবি ছিল বিপ টেস্টের মানদন্ড যেন কমানো হয়। নির্বাচকরা কীভাবে দেখছেন ব্যাপারটিকে, ‘দাবি দাওয়া করলেতো হবেনা, কিছু নির্ণায়ক পরিবর্তন তো করতে হবে। এটা আসলে ক্রিকেটারদের জন্যই ভালো, যা আমাদের ক্রিকেটেরই ভালো। আমিও ক্রিকেট খেলেছি, ম্যাচ ফিটনেস ও বিপ টেস্টের মধ্যেতো অবশ্যই পার্থক্য আছে। আপনি যদি বিপ টেস্টে ফিট না হন তাহলে ম্যাচ ফিটনেসেও আপনার ঘাটতি দেখা দিবে। আপনি বিপ টেস্টে ভালো না করলে প্রথম ম্যাচ কিংবা দ্বিতীয় ম্যাচের পরই আপনার ফিটনেসে অবনতি হবে।’
বিপ টেস্টে যারা উতরাতে পারবেনা বা যাদের বিবেচনায় রাখা হবেনা তাদের ক্ষেত্রে কি পরিকল্পনা? সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক সফল এই অধিনায়ক জানান, ‘আগেরবারও দেখা গেছে যারা প্রথমবার ৯ তুলতে পারেনি তাদেরকে সময় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ৭ দিনের ভেতর নিজেদের প্রস্তুত করতে, আমি আশাবাদী এবারও সেই সুযোগ থাকবে। ‘
এবারের জাতীয় লিগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক খেলছেন জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার গুরুত্ব তুলে ধরে বাশার যোগ করেন, ‘অন্তত দুটো খেলতে হবে (ভারত সফরের আগে)। আর সেটা সম্ভব, আমরা সেভাবেই ম্যানেজ করবো। আমাদের ক্রিকেটারদের প্রথম শ্রেণি খেলা উচিত, আমাদের প্রথম শ্রেণির একদম খারাপও না। এখানে বড় রান করা কিন্তু একটা অভ্যাস, আমি মনে করি প্রথম শ্রেণি খেলা উচিত। টিম ম্যানেজমেন্ট দেখবে কারা খেলবে, কারা বিশ্রাম করবে। তবে দুটো ম্যাচ খেলতেই হবে।’