

সাকিব আল হাসানের ব্যাটে চড়ে দীর্ঘ ৫ বছর পর আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারালো বাংলাদেশ। অথচ বিশ্বকাপ থেকে ব্যর্থ বাংলাদেশ আটকা পড়েছিল আফগান জুজুতে, একমাত্র টেস্টে চট্টগ্রামেই হেরেছে নাজুকভাবে, ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দেখাতেও হার। আর বাংলাদেশের পরাজয়ের কারণ হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আফগান কাপ্তান রাশিদ খান।
রাশিদ, নবি, মুজিবদের সামলাতে গিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে গতকাল (২১ সেপ্টেম্বর) নিয়ম রক্ষার ম্যাচে আফগানদের সহজে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ঝরতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের কন্ঠে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে তরুণ ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকততো জানালেন তারা আসলে রাশিদরে নিয়ে বাড়তি কিছু ভাবেইনি গতকাল।
ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পেয়ে বাংলাদেশ ইনিংস চলাকালীন বেশ কিছু সময় মাঠের বাইরে কাটান আফগানিস্তানের স্ট্রাইক বোলার ও দলপতি রাশিদ খান। ১৩৮ রানের পুঁজি নিয়ে রাশিদ খান একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন, আর তাকে খেলতে ভোগান্তিতে পড়া বাংলাদেশ শিবিরের কাছে হিতে পারতেন আতঙ্কের নাম। অথচ চোট পুরো না সারার আগেই মাঠে ফিরে হাতে তুলে নেন বল, প্রথম দুই ওভারে ৯ রান দেওয়া রাশিদ ১৮তম ওভারে দেন ঠিক ১৮ রান। মূলত ওই ওভারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আফগানিস্তান। তবে কি চোটে পড়াতেই রাশিদকে সহজে খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ?
সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তুলতেই মোসাদ্দেক জানালেন ভিন্নমত। রাশিদ হোক কিংবা অন্য বোলার হোক, ওই ওভার কিংবা পরিস্থিতিতে তারা ঝুঁকি ঠিকই নিত। এমনকি রাশিদ যে চোট পেয়েছেন সেটিও নাকি অজানা মোসাদ্দেকদের কাছে,’ রাশিদের ভয়ে ছিলাম এমন কিছু কখনোই বলিনি। ভয়ের কিছু আছে বলেও মনে করিনা। চোটে না পড়লে হয়তো আরেকটু ভালো বল করতো। আমাদের তখন ঝুঁকি নিতেই হত, আমরা সেটাই ভাবছিলাম। ও চোটে ছিল কিনা সেটা আমাদের নজরেই আসেনি।’
১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১২ রানেই দুই ওপেনার সাজঘরে, ৫৮ রানের জুটিতে বিপদ কাটালেন সাকিব- মুশফিক। দ্রতই মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির, আফিফের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ। ৩৫ রানের জুটিতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা সাকিবকে নিয়ে জয় নিয়ে ফিরলেন মোসাদ্দেক (১৯)। ফাইনালের আগে এমন জয়ে প্রাপ্তি কি জানালেন এই তরুণ,’ জয় সবসময়ই আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। অনেক ম্যাচ হেরেছি ওদের কাছে। তবে এখন ছন্দে ফিরেছি, হিসাবী ক্রিকেট খেলতে হবে আগেই বলেছি। সবশেষ দুই ম্যাচে সেটা আমরা পেরেছি। গত দুই ম্যাচের মত ইতিবাচক ক্রিকেট খেললে ফাইনালে আশা করি ভালো কিছুই হবে।’