

এখন পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের জন্য পরিস্থিতি ‘এলাম, দেখলাম জয় করলাম’। তবে অন্য সবার মতো বিপ্লবও জানেন সামনে কণ্টকাকীর্ণ পথ। অন্য অনেকেই শুরুটা মনে রাখার মতো করেও টিকে থাকতে পারেননি। অন্যদের পরিণতি দেখা বিপ্লব জানেন হারিয়ে না যাবার জন্য কিসে মনযোগ দিতে হবে।
জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন বিপ্লবের পূরণ হয়েছে, ছোটবেলা থেকে যাদের খেলা দেখে বড় হয়েছেন তাঁদের সাথে একসাথে খেলতে পেরে গর্বিত তিনি- ‘এটা আসলে একটা ড্রিম যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবে। তো আমার খুব ভালো লাগছিলো। ছোটবেলা থেকে যাদের খেলা দেখে আসছিলাম তাঁদের সাথে একসাথে খেলতে পারার যে একটা ড্রিম, প্রাউড ফিল করার মতো।’
অভিষেকে তারকা ক্রিকেটারদের সমর্থন পেয়েছেন। বিপ্লব জানালেন শুরুর নার্ভাসনেস কেটেছে অধিনায়ক ও সিনিয়রদের দেওয়া সমর্থনে।
‘আমি যখন বোলিংয়ে যাই একটু নার্ভাস ছিলাম। তবে সাকিব ভাই আমাকে বললো- তুই যেমন বোলিং করিস নরম্যালি সেভাবে কর। রিয়াদ ভাই, মুশফিক ভাইরা খুব ভালো সাপোর্ট করছিলো। সবাই বলছিলো ভালো জায়গাতে বল করলেই হবে। আমি শুধু ওটা করার চেষ্টাই করেছি। এরপর আল্লাহর রহমতে ভালোই হয়েছে।’
‘সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাইরা আমাকে বারবার যেটা বলছিলো যে এখানে লেগ স্পিনারের কেবল জায়গায় বল করতে পারলেই হবে। ভালো জায়গাতে বল করলে ভালো কিছু করা সম্ভব। তো আমি চেষ্টা করেছি ব্যাটসম্যানকে রিড করে ভালো জায়গায় বল করে যেতে।’
শুরুটা তো ভালোই হলো। এখন এটা ধরে রেখে দলে জায়গা পাকা করার পালা। বাংলাদেশের লেগস্পিনারদের অতীত রেকর্ড ভালো নয় মোটেও। জুবায়ের হোসেন লিখনদের নাম এনে সাংবাদিকের জিজ্ঞাসা- ‘ওনাদের পরিণতি জানেন তো?’
১৯ বছর বয়সী বিপ্লব সেই প্রশ্নের ‘হ্যা’ সূচক উত্তর দিয়ে জানালেন নিজের পারফরম্যান্সকে দিনকে দিন আরো ভালো করতে চান- ‘আমি ফিল করি সেলফ কন্ট্রোল টা অনেক বড় জিনিস। নিজেকে কন্ট্রোল করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেখেছি আগে কারা কি করেছে। আমি চেষ্টা করবো নিজেকে কন্ট্রোল করে কিভাবে ডে বাই ডে ইম্প্রুভ করতে। ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো করার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ।’