

বিশ্বকাপ থেকে শুরু, ব্যর্থতার বলয়ে আঁটকে আছে টিম বাংলাদেশ। ফরম্যাট যাই হোক সাফল্য হয়ে আছে অধরা, ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিতে তাও একটু জয়ে ফেরা। এরপর আবার আফগান বাধা টপকাতে ব্যর্থ, নিজেদের অস্বস্তির ফরম্যাট বলেই টি-টোয়েন্টিতে খাবি খাওয়া এক বাংলাদেশকে দেখা যায় একই ঘরানায়। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলছেন ঘাটিতিটা টি-টোয়েন্টি মানের ক্রিকেটারের। দ্রতই প্রেক্ষাপট বদলাবেনা, দিতে হবে সময়।
ত্রিদেশীয় সিরিজের চট্টগ্রাম পর্ব শুরু আগামীকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে, মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। তার আগে আজ(১৭ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত তুলে ধরেছেন ব্যর্থতার কারণ, টেনেছেন বাস্তবতা।
ঠিক টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ বলতে যা বোঝায় তা আদৌ বাংলাদেশ ক্রিকেটে আছে কিনা এ নিয়ে সংশয় অনেকদিনের। তারপরও বোর্ড কিংবা নির্বাচকরা কয়েকজনের গায়ে সেঁটে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ তকমা, কিন্তু ফলাফল শূন্য, টানা ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেন। মোসাদ্দেক বলছেন টি-টোয়েন্টি মানের ব্যাটসমই নেই, তবে যারা আছেন তাদের উপরই রাখছেন আস্থা ‘ যারা দায়িত্বে আছেন তারাও জানে এই জায়গাটাতে আমাদের ঘাটতি আছে। এই মানের ব্যাটসম্যান আমাদের বেশ দরকার। যতদিন পর্যন্ত পাচ্ছিনা ততদিন অপেক্ষা করতে হবে। আমরা আজকে চাইলাম আর কালকে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্ট বানাতে পারবনা। এখন যারা আছে তারা চেষ্টা করছে, আমি মনে করি এরাই ভালো করবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মূলে রয়েছে স্কিল ঘাটতি ও কনফিডেন্সের অভাব। আজ(১৭ সেপ্টেম্বর) মোসাদ্দেকও বললেন প্রায় একই কথা, ‘টি-টোয়েন্টি তে স্কিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওদের বেশিরভাগ রিস্ট স্পিনার ফলে যখন তখন ওদের চার-ছয় মারা সম্ভব নয়। আমরা আমাদের পরিকল্পনামতই এগুচ্ছি হয়তো প্রয়োগে কোথাও দূর্বলতা রয়েছে। যার কারণে অল্প রানে ম্যাচগুলো হেরে যাচ্ছি।’
দলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলার ধরণে আগ্রাসীভাব না থাকলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবেনা। কিন্তু মোসাদ্দেক বলছেন মাঠে নামবেন আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার জন্যই, জয়টাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ, ‘ টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমরাদের লক্ষ্য ছিল একটা ম্যাচ জেতা। আমরা একটা জিতেছি একটায় হেরেছি। কালকের ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জেতার জন্যই মাঠে নামবো এবং আগ্রাসী ক্রিকেটই খেলবো।’