

বাংলাদেশের ইনিংসে ১১ রানে দুই ওপেনার ফেরার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন সাকিব আল হাসান। ১২ বলে ১৫ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন নিজেকে ফিরে পাওয়ার। মুজিব উর রহমানের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শুরুতে রশিদ খানের সঙ্গে হঠাৎ কিছু একটা নিয়ে লেগে গেল সাকিবের। কিন্তু কি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব পরিষ্কার করে কিছু না বললেও আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেইবাংলাদেশের দুই ওপেনারের বিদায়। পঞ্চম ওভারে ধৈর্য হারিয়ে মুজিবকে উইকেট দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আউট হওয়ার আগের বলেই রাশিদ খানের সঙ্গে কিছুটা উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হচ্ছিল সাকিবের, স্ট্রাইকে গিয়ে সেই রশিদের কাছেই ক্যাচ তুললেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়; কি নিয়ে রাশিদ খানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। যদিও উত্তরটি কৌশলে সাকিব এড়িয়ে গেলেন।
‘তেমন কিছু হয়নি। জানি না, কী বলব।’
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তান দলের প্রতিনিধি হয়ে আসেন মুজিব উর রহমান। মুজিবকে প্রশ্ন করা হলো রাশিদের সঙ্গে সাকিবের কী নিয়ে লেগেছিল দ্বন্দ্ব? সাকিব-রশিদের কথা-কাটাকাটির বিষয়ে মুজিবও সরাসরি কিছু বললেন না। তবে কারণ কিছুটা বললেন,
‘তেমন কিছু হয়নি। ওই সময় রশিদ আম্পায়ারকে শুধু মোবাইলের আলো নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল। দর্শকেরা তখন গ্যালারিতে মোবাইলের আলো নেভাচ্ছিল আর জ্বালাচ্ছিল, রশিদ সেটা নিয়েই জিজ্ঞেস করছিল।’
আবার জানা যায়, ওই সময়ে গ্যালারিতে অবস্থানরত কিছু দর্শক মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। যা রশিদ খানের পছন্দ হয়নি। সেই অভিযোগই তিনি আম্পায়ারদের কাছে জানাতে এসেছিলেন। ফিল্ড আম্পায়াররা তাকে বলেছেন, এখানে আমাদের করার কিছুই নেই।
রশিদের মুখে এমন অভিযোগ শুনে সকিব নাকি বলেছিলেন, খেলার মাঠে এই দৃশ্য নতুন নাকি? কথাটি রশিদ খানের পছন্দ হয়নি বলেই বাদানুবাদ বেঁধে যায়।