

টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান কতটা শক্ত দল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বর্তমান র্যাংকিংয়ে অবস্থান সপ্তম, পেছনে ফেলেছে দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও একবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে, বাংলাদেশের অবস্থান আরও একধাপ পরে। আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে টি-টোয়েন্টিতে টানা জয়ের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে গড়বে আরেকবার।

৭২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান বলছে আফগানরা কতটা ভয়ঙ্কর ছোট এই সংস্করণে। ৫০ জয়ের বিপরীতে হার মাত্র ২২ টি, যার ৫০তম জয়টি এসেছে গতকাল (১৪ সেপ্টেম্বর) জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে। আর এই জয়ের মাধ্যমেই টানা ১১ জয় নিয়ে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের নিজেদের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে আফগানরা।
আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেই আফগানিস্তানের টানা টি-টোয়েন্টি জয় হবে ১২ টি, ফলে ২০১৬-১৭ সালে গড়া নিজেদের টানা ১১ ম্যাচ জয়ের বিশ্ব রেকর্ড পড়বে পেছনে। ইতোমধ্যে দুইবার টানা ১১ ম্যাচ রাশিদ খানরা জিতলেও, টানা ১০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও নেই আর কারও। নিকটতম টানা জয় পাকিস্তানের ৯ টি।
গতবছর শারজায় জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দ্বিতীয় দফায় টানা জয়ের রেকর্ড মিশন শুরু করে আফগানিস্তান। শারজায় জিম্বাবুয়েকে দুই ম্যাচ হারানোর পর, দেরাদুনে বাংলাদেশকে তিন ম্যাচ, আয়ারল্যান্ডকে ব্রিড ও দেরাদুনে পাঁচ ম্যাচের পর চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে গতকাল জিম্বাবুয়ে হারিয়ে টানা ১১ জয়ের নিজেদের রেকর্ডে ভাগ বসালো।
আফগানিস্তান টানা ১১ ম্যাচ জিতেছে ইতোমধ্যে দুইবার, টানা ৫ ম্যাচ জিতেছে একবার। আফগানদের পর টানা জয়ে বেশ সফল পাকিস্তান, তাদের রয়েছে টানা ৯, ৮, ৭, ৬ ও ৫ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। নিজেদের সবচেয়ে অস্বস্তির ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টানা সাফল্য বলতে ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডকে টানা তিন ম্যাচ হারানো।
টি-টোয়েন্টিতে টানা জয়ের রেকর্ডঃ
১. আফগানিস্তান ১১* (২০১৮-১৯)
২. আফগানিস্তান ১১ (২০১৬-১৭)
৩. পাকিস্তান ৯ (২০১৮)
৪. ইংল্যান্ড ৮ (২০১০-১১)
৫. আয়ারল্যান্ড ৮ (২০১২-১৩)