

রহমানউল্লাহ গুরবাজ, বয়সটা এখনো আঠারোতেও ঠেকেনি। আফগান জার্সিতে আজ টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই খেললেন ২৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। দলের বড় সংগ্রহের অন্যতম ভীত তার হাতেই গড়া। ম্যাচে শেষে জানালেন আগামীকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবছেননা, প্রশংসা করেছেন প্রথম ম্যাচের বাংলাদেশের নায়ক আফিফের।
টস হেরে ব্যাট করা আফগানিস্তান পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তোলে ৫৮ রান। যেখানে বড় ভূমিকা ছিল অভিষিক্ত রহমান উল্লাহর। তার বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট পতনে বিপর্যয়ে পড়ে দল, শেষদিকে জাদরান – নবি ঝড়ে পাহাড়সম সংগ্রহ পায় আফগান শিবির।
১৫ ওভার শেষেও দলের রান ১০৯, অথচ ২০ ওভার শেষে ১৯৭! ৪০ বলের জুটিতে ১০৭ রান যোগ করেন জাদরান-নবি। দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে রহমান উল্লাহ যা বলতে চাইলেন তার সারমর্ম হল, “মূলত আমাদের লক্ষ্য ছিল ১৫০ রান করতে পারা। দুর্দান্ত এক জুটিতে বড় সংগ্রহ হয়েছে। শেষ পাঁচ ওভারে আমাদের পরিকল্পনা ছিল কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান করা। সৌভাগ্যক্রমে ব্যাটে বলে হওয়ায় বেশ ভালো রান উঠেছে বোর্ডে।”
কাগজে কলমে টুর্নামেন্টের শক্তিশালী দল আফিগানিস্তানই, তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ও নিজেদের দিনে যেকোন কিছু করার ক্ষমতা রাখা বাংলাদেশকে নিয়ে আগামীকালকের (১৫ সেপ্টেম্বর) ম্যাচের আগে কি ভাবছে রহমানউল্লাহ? সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উত্তর দিলেন স্পষ্ট ভাষায়,”বাংলাদেশ নিয়ে ভাবছিনা, প্রতিপক্ষের নাম দেখে খেলিনা। খেলাটা উপভোগ করি, দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা ও অবদান রাখতে পারাতেই আমার আনন্দ। ”
নিজে তরুণ ক্রিকেটার, অভিষেকে দারুণ এক ইনিংসও খেলেছেন। এদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ শিবির দেখলো তরুণের শো, যেখানে ধ্বংশ স্তুপ থেকে টেনে তুলে আফিফ হোসেন জিতিয়েছেন দলকে। আফিফের পারফরম্যান্সকে কেমন দেখলো আফগানিস্তান? বয়সভিত্তিকে দুজনে আগে থেকেই চেনা জানা, কাছ থেকে দেখায় আফিফ সম্পর্কে জানেনও ভালো, “হ্যাঁ ম্যাচটি দেখেছি। আফিফকে আগে থেকেই চিনি, তার সাথে অনূর্ধ্ব ১৯ ও বয়সভিত্তিকে খেলেছি। সে ভালো খেলে, কালকের ম্যাচও দেখেছি। দারুণ খেলেছে, ম্যাচটি বেশ উপভোগ করেছি।”