
স্বপ্নের সেমিফাইনাল। সেরা চারের কাতারে বাংলাদেশ। ভাবতেই যেন গা শিউরে উঠে। এমন স্বপ্নইতো এতদিন দেখে আসছিলো বাংলাদেশ। গাজী আশরাফ হোসেন লিপু থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজা। স্বপ্নটা এবার সত্যিই হলো। অধরা স্বপ্ন এবার ধরা দিলো বাঘেদের পালে।
১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিরে চমক। প্রথমবারের মত আইসিসির বড় কোন আসরের সেমিফাইনালিস্ট। এর থেকে গৌরবের বেশি আর কিইবা হতে পারে।
হোক সেটি ইংল্যান্ডের কল্যানে। তাতে কি। এর আগের দিনই তো বাংলাদেশ হারিয়েছিলো শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে। সেই জয় না পেলে কি আর ইংল্যান্ড এর জয় কাজে লাগতো! এতসব হিসাব নিকাশে একটুও কমেনি টাইগারদের বীরত্ব। না জিতে তো আর সেমিফাইনাল নয়।
কার্ডিফ যেন আরেকটা শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম। ২০০৫ এ অষ্ট্রেলিয়াকে হারানোর ১২ বছর পর আবারো সেই কার্ডিফে ফিরে আসলো জয়। অস্ট্রেলিয়া না হলেও ছিলো তাদের পার্শবর্তী দেশ নিউজিল্যান্ড।
সে বার ছিলেন আশরাফুল-আফতাব রা। এবার ছিলেন রিয়াদ-সাকিব। এই দুইয়ের মহাকাব্যিক ইনিংস বাংলাদেশকে পৌছে দেয় স্বপ্নের সেমি ফাইনালে। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আর দেশ সেরা ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এতদিন ছিলো ২০১৫ বিশ্বকাপের সেই কোয়ার্টার ফাইনাল বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা সাফল্য। সেই সাফল্যে যোগ হলো এবার আরেকটি অধ্যায়।
আসর শুরুর আগ থেকেই সাবেক-বর্তমান অনেক ক্রিকেটারই বলে আসছিলো, সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা রাখে বাংলাদেশ। সেই অনুপ্রেরণা টা ঠিকই কাজে দিয়েছে মাশরাফিদের।
টুর্নামেন্টের ডেথ গ্রুপ বলা হয়েছিলো ‘এ’ গ্রুপকে। প্রতিটা দলই যোগ্যতা রাখে সেমি ফাইনাল খেলার। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার মত দুই বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়নরা এভাবে ছিটকে পড়বে সেটা হয়তো স্বয়ং অষ্ট্রেলিয়াও ভাবেনি। সেই ডেথ গ্রুপ থেকেই সেমিফাইনালে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
‘এ’ গ্রুপে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এর পরেই ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার-আপ হয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ১৫ তারিখ এজবাস্টনে সেমিফাইনাল খেলবে টাইগাররা। ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। তবে কারা হবেবাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দল সেটি এখনো নিশ্চিত হয়নি।