

চট্টগ্রাম টেস্টে ঐতিহাসিক জয় পেল আফগানিস্তান। এক বছরের টেস্ট ইতিহাস। দলটি আফগানিস্তান। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে তিন ম্যাচের দুটিতেই জয় পেলেন আফগানরা। টেস্ট ক্রিকেটে এ কীর্তি আছে কেবল অস্ট্রেলিয়ার। অভিষেক টেস্টে ভারতের কাছে পরাজিত হয় আফগানিস্তান। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় তারা। দ্বিতীয় টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে হারায়। আর নিজেদের তৃতীয় টেস্টে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল রাশিদ খানরা।

বাংলাদেশকে নিজেদের তৃতীয় টেস্টে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রেকর্ড ক্লাবে ভাগ বসালো আফগানিস্তান টেস্ট দল। যেখানে ‘১’ নম্বর অবস্থান এখন অস্ট্রেলিয়ার ও আফগানিস্তানের। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড নেই আফগানিস্তানের আশে-পাশেও। প্রথম দুই জয় পেতে আফগানিস্তানের খেলতে হয়েছে ৩ ম্যাচ, বাংলাদেশের লেগেছে ৬০ ম্যাচ।
সীমিত পরিসরে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে আফগানিস্তান অর্জন করে নিয়েছে টেস্ট স্ট্যাটাস। সেখানেও বাজিমাত। গত বছর টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের ম্যাচটা তাদের খেলতে হয়েছে কোহলিদের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে আফগানিস্তান পরাজিত হবে এইটা অনুমেয় ছিলো। ইনিংস এবং ২৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে নিজের প্রথম টেস্ট হারে আফগানরা।

নিজেদের দ্বিতীয় টেস্টে তারা হারিয়ে দেয় আয়ারল্যান্ডকে। আয়ারল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম জয় পায় আফগানিস্তান। টেস্টে দ্বিতীয় জয়টা পেতে যেন আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি আফগানদের। পরের ম্যাচে এসেই ঘরের দল বাংলাদেশকে লজ্জাজনক পরাজয় দেখিয়েছে রাশিদ খান, মোহাম্মদ নবিরা।
এবার বাংলাদেশ সফরে এসে চোখ রাঙানি দিয়ে ২২৪ রানে টেস্ট ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়লো টেস্ট ক্রিকেটের তরুণ দল আফগানিস্তান। চট্টগ্রামে আজ প্রায় পুরো দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষ বিকেলে শুরু হয় খেলা। ১৮.৩ ওভার টিকতে পারলেই ম্যাচটা ড্র করতে পারত বাংলাদেশ। মাত্র ১৮.৩ ওভার টিকতে ব্যর্থ হয়ে হেরে যায় বাংলাদেশ! রশিদ খানের বোলিং জাদুতে ১৭৩ রানেই থেমে গেল বাংলাদেশ। ২২৪ রানের বিশাল জয় পেল আফগানিস্তান।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দু’টি জয় পেতে কার কত ম্যাচ লেগেছেঃ
আফগানিস্তান | ৩ ম্যাচ |
অস্ট্রেলিয়া | ৩ ম্যাচ |
ইংল্যান্ড | ৪ ম্যাচ |
পাকিস্তান | ৯ ম্যাচ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ১২ ম্যাচ |
দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৩ ম্যাচ |
শ্রীলঙ্কা | ২০ ম্যাচ |
ভারত | ৩০ ম্যাচ |
জিম্বাবুয়ে | ৩১ ম্যাচ |
নিউজিল্যান্ড | ৫৫ ম্যাচ |
বাংলাদেশ | ৬০ ম্যাচ |