
চতুর্থদিন শেষেই আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট হারার সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। নবাগত আফগানদের বিপক্ষে অন্তত ম্যাচ বাঁচাতে হলেও অপেক্ষা করতে হচ্ছে বৃষ্টির, এমন করুণ মুহূর্তে সংবাদ সম্মেলনে এলেন টাইগার কাপ্তান।নিজেদের লজ্জা ডাকতে টেনে এনেছেন ইংল্যান্ডকে ঘরের মাঠে হারানোর উদাহরণ।
জিততে হলে করতে হবে ৩৯৮, যার মানে দাঁড়ায় ভাঙতে হবে টেস্ট ইতিহাসেরই অনেক বড়সড় রেকর্ডগুলো। অথচ চতুর্থ দিনে ৪৪.২ ওভার ব্যাট করেই ১৩৬ রান তুলতেই নেই ৬ উইকেট। টেস্টের নবীনতম সদস্যদের কাছে নিশ্চিত হারের সামনে দাঁড়িয়ে বাস্তববাদী সাকিব বলছেন,
‘ভালো ব্যাপার হল ম্যাচটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যে পড়েনি। তবে টেস্টের নবাগত একটি দলের কাছে এভাবে হারতে যাওয়া দেশের ক্রিকেটের জন্যই হতাশার। নতুন বলে তারা জিততে পারবেনা এমন নয়। ২০০ বছর ধরে টেস্ট খেলা ইংল্যান্ডকে ১৫-২০ বছর টেস্ট খেলা আমরা হারিয়েছি। তো তাদের কেমন লাগতে পারে? ব্যাপারটা এমন না।’
প্রায় ৪০০ রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং অর্ডারে বেশ ওলটপালট করেছে বাংলাদেশে। কেনইবা এমন পরিকল্পনা জানালেন সাকিব,
‘আমরা যদি দুশো তাড়া করতে নামতাম তবে আগের মতই থাকতো। আমরা নেমেছি চারশো তাড়া করতে, ভিন্ন কিছু করতেই হত। স্বাভাবিক ব্যাটিং অর্ডারেও প্রথম ইনিংসে দুশোই করেছি। এই ইনিংসে এরচাইতে খারাপ আর কি হবে? পরিকল্পনা কাজে লাগেনি বলে কথা হচ্ছে এটাই স্বাভাবিক।‘
ওপেনিংয়ে সাদমান-সৌম্যের পরিবর্তে নামলেন লিটন-সাদমান। এরপর ওয়ান ডাউনে আসলেন মোসাদ্দেক, চারের মুমিনুল পাঁচে। টাইগার কাপ্তান বলছেন ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন তৈরিতেই এমন পরিবর্তন। কিন্তু কাজে লাগেনি পরিকল্পনার কিছুই, ব্যর্থ হয়েছেন একে একে সবাই। ফলস্বরূপ অপেক্ষা একমাত্র টেস্টে বড় হারের। কেব ল রিস্ট স্পিনার নয়, বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছেন অফস্পিনার মোহাম্মদ নবিও।
তবে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত মোসাদ্দেকের তিন নম্বরে নামার বিষয়টি। মূলত মোহাম্মদ নবির অফস্পিনের সামনে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকেই দিতে চায়নি বলেই দলীয় সম্মতিতে তার উপরে ওঠা। সাকিব দিয়েছেন মোসাদ্দেকের ব্যাখ্যাও,
‘সত্যি কথা বলতে প্রথম ইনিংসে আমরা যারা ব্যাটিং করেছি ওকেই সবচেয়ে বেশি স্বাভাবিক মনে হয়েছে স্পিনের বিপক্ষে। তাই কাল রাতেই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় ওকে ওপরের দিকে উঠিয়ে আনার। আমার একক সিদ্ধান্ত হলে আমি ওকে লিটনের সাথে ওপেনিংয়েই নামাতাম, প্রস্তাবও রেখেছি। দলীয় সিদ্ধান্ত বলেই লিটনের সাথে সাদমানই এসেছে।’