

বাংলাদেশে এসে প্রথম দিন সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরই জানা যায় বাংলাদেশের প্রধান কোচ হতে খুব একটা পারিশ্রমিক চাননি রাসেল ডোমিঙ্গো। বরং জাতীয় দল না হলেও বাংলাদেশে হাই পারফরম্যান্স কিংবা এ দলের হয়ে কাজ করতে পারলেই খুশি। কিন্তু তাই বলে মাত্র ১০০ দিনের চুক্তিতে স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করতে যাওয়া ড্যানিয়েল ভেট্টোরির চেয়ে আকাশ-পাতাল ব্যবধান হবে তার পারিশ্রমিক সেটাই বা কে জানতো? অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য যে বাংলাদেশ কোচ ইতিহাসেরই সবচেয়ে ব্যবহুল চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হলেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি এই স্পিনার।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি কোচ ছিলেন লঙ্কান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, মাসিক বেতন ছিল ২৭ হাজার ৭২৩ ডলার। কিন্তু হাথুরুর পুরো মাসের বেতনই ড্যানিয়েল ভেট্টোরি নিবেন মাত্র আট দিনে। এদিকে মাসিক ১৭১৪২ ডলার বেতনে চুক্তিবদ্ধ ডোমিঙ্গো পেছনে পড়বেন আরও, মাত্র ৫ দিনেই দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচের বেতন আয় করবেন ভেট্টোরি।
প্রধান কোচ হিসেবে রাসেল ডোমিঙ্গোর নিয়োগের আগেই নিয়োগ পান পেস ও স্পিন বোলিং কোচ। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে ভেট্টোরির সাথেই নিয়োগ পান দক্ষিণ আফ্রিকান পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট। ল্যাঙ্গেভেল্টের পুরো মাসের বেতন তিনদিনেই জমা পড়বে কিউই কিংবদন্তির একাউন্টে। সুত্রমতে ভেট্টোরির দৈনিক বেতন পড়বে ৩৫০০ ডলারের বেশি, কর বাদ দিয়ে তার পকেটে যাবে ২৫০০ ডলারের বেশি যা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে ব্যয়বহুল চুক্তিতে শীর্ষে আছে।

প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর পারিশ্রমিকই যেখানে বিশাল ব্যবধান ভেট্টোরির সাথে, কোচিং স্টাফদের অন্যদের বেতনতো তিনদিন বা এর কম সময়েই যাবে সাকিবদের নতুন গুরুর পকেটে। এই যেমন ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করা নেইল ম্যাকেঞ্জি দৈনিক চুক্তিতে পান ৮৫০ ডলার ও ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক পান ৫০০ ডলার, কর কেটে রাখলে যা দাঁড়ায় যথাক্রমে ৫৯৫ ও ৩৫০ ডলার। যা ভেট্টোরির তুলনায় বেশ নগণ্য আর্থিক অঙ্ক।
চলতি বছরের অক্টোবর থেকে আগামী বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এক বছর সময়ে মাত্র ১০০ দিনের চুক্তিতে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব পান ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। মূলত ভারতের বিপক্ষে নভেম্বর টেস্ট সিরিজ সামনে রেখেই কাজে নামবেন ভেট্টোরি। এদিকে অল্পতেই ডোমিঙ্গের তুষ্ট থাকার মূল কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার কোচিং প্যানেলে থাকাবস্থায় ডোমিঙ্গে মাসে পেতেন মাত্র ৮ হাজার ডলার। ফলে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে ১৭ হাজার ডলারের বেশি অর্থাৎ আগের কর্মস্থলের প্রায় দ্বিগুণ পেয়ে বেশ সন্তুষ্টই থাকার কথা।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ।