

১৮৭৭ সালে মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে অজি ওপেনার চার্লস ব্যানারম্যান করে বসেন সেঞ্চুরি, টেস্ট ইতিহাসেরই প্রথম ম্যাচ , প্রথম সেঞ্চুরি ছিল সেটি। আজ (৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে সেঞ্চুরি তুলে ব্যানারম্যানকে আবারও ফিরিয়ে আনলেন আফগান ব্যাটসম্যান রহমত শাহ। আফগানিস্তানের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিটি যে তার ব্যাট থেকেই এলো।
রেকর্ডটি রহমত শাহ গড়তে পারতেন নিজেদের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচেই। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি বছরের মার্চে ডারবানে ৯৮ রানে আউট হওয়ায় হয়নি দেশের হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড। কিন্তু রেকর্ডটি নিজের করতে এক ম্যাচও সময় নেননি। নিজেদের তৃতীয় টেস্টেই আজ(৫ সেপ্টেম্বর) দলের বিপর্যয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে রেকর্ড নিজের দখলেই রাখলেন।
ইংলিশদের হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি আসে উইলিয়াম গ্রেসের ব্যাটে ১৮৮০ সালে কেনিংটন ওভালে নিজেদের চতুর্থ টেস্ট। গ্রেসের ১৫২ রানে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ইংল্যান্ড জেতে ৫ উইকেটে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিটি আসে জিমি সিনক্লেয়ারের ব্যাটে ১৮৯৮-৯৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রেকর্ডটি ক্লিফোর্ড রোচের। ১৯৩০ সালে ব্রিজটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি আসে স্টেভি ডেম্পস্টারের ব্যাটে। শ্রীলঙ্কা, ভারত ও পাকিস্তানের হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন যথাক্রমে সিদাথ ভেট্টিমুনি, লালা অমরনাথ ও নজর মোহাম্মদ। ১৯৯২ সালে ভারতের বিপক্ষে হারারের টেস্টে ৩৫ বছর বয়সী জিম্বাবুয়ে দলপতি ডেভ হাটন খেলেন ১১৫ রানের ইনিংস। যা অজি চার্লস ব্যানারম্যানের দেশের অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরির ১১৫ বছর পর দেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচেই সেঞ্চুরির রেকর্ডও ছিল।
২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষেই ঢাকায় নিজেদের অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি তুলে নেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আফগানিস্তানের হয়ে প্রথম এই কীর্তি গড়েন কেভিন ও ব্রায়েন, ডাবলিন টেস্টে গতবছর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন ১১৮ রানের ইনিংস। বাকী ছিল আফগানিস্তান, আজ(৫ সেপ্টেম্বর) চা বিরতির পর নাইম হাসানকে ডিপ কাভার পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে দেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করাদের পাশে নিজের নাম লিখিয়ে নেন রহমত শাহ।
নিজ নিজ দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানঃ
অস্ট্রেলিয়া- চার্লস ব্যানারম্যান
ইংল্যান্ড- উইলিয়াম গিলবার্ট গ্রেস
দক্ষিণ আফ্রিকা- জিমি সিনক্লেয়ার
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ক্লিফোর্ড রোচ
নিউজিল্যান্ড- স্টেভি ডেম্পস্টার
ভারত- লালা অমরনাথ
পাকিস্তান- নজর মোহাম্মদ
শ্রীলঙ্কা- সিদাথ ভেট্টিমুনি
জিম্বাবুয়ে- ডেভ হাটন
বাংলাদেশ- আমিনুল ইসলাম বুলবুল
আয়ারল্যান্ড- কেভিন ও’ব্রায়েন
আফগানিস্তান- রহমত শাহ।