

বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে যখন অজি ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ একবছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন তখনও তিনি টেস্টের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। নিষেধাজ্ঞার প্রায় পুরো সময়টায় পিছিয়ে পড়েছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিরাট কোহলির কাছে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাদা পোশাকে ফিরেই নিজের হারানো আসন ফিরে পেতে যেন মরিয়া স্টিভ স্মিথ। চলতি অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই সবশেষ হালনাগাদ হওয়া আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংযে শীর্ষে ফিরেছেন স্মিথ।
চলতি অ্যাশেজ দিয়েই সাদা পোশাকে স্মিথের প্রত্যাবর্তন, নিজের জাত চেনাতে যেমন মঞ্চ দরকার ছিল ঠিক তেমনটাই প্রস্তুত ছিল স্মিথের জন্য। ১২২ রানেই ৮ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া তার ১৪৪ রানের অতিমানবীয় ইনিংসেই ২৮৪ রানের পুঁজি পায়। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৭৫ রানেই তিন উইকেট হারানো অজিদের বড় সংগ্রহ এনে দেয় তার ১৪২ রানের আরেকটি ঝকঝকে ইনিংস।
পরের টেস্টেই আবার ৯২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, জফরা আর্চারের গতিতে টালমাটাল হয়ে মাঠের বাইরে গেলেও ফিরে এসে থামেন ৯২ রানে। পরের ইনিংসে আর ব্যাট করতে পারেননি, মিস করেছেন সবশেষ হেডিংলি টেস্টও। কিন্তু পুরোনো রাজত্ব ফিরে পেতে সবশেষ তিন ইনিংসই যথেষ্ট প্রমাণ করেছে আইসিস র্যাংকিং।
যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে ভারত কাপ্তান ভিরাট কোহলির ফরমহীনতাই এগিয়ে দেয় স্মিথকে। চলতি বছরে এখনো কোন টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পাননি কোহলি। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৩৪ গড়ে রান করেছেন ১৩৬। সবশেষ জামাইকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৬ রানের ইনিংস খেললেও দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরেছেন খালি হাতে।
কোহলি-স্মিথ জায়গা বদল করলেও সেরা দশের তিন নম্বর জায়গাটা ধরে রেখেছেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন, চার নম্বরে ও পাঁচ নম্বরে যথাক্রমে চেতেশ্বর পুজারা ও হেনরি নিকোলস। ছয় ও সাত নম্বরে উঠে এসেছেন যথাক্রমে জো রুট ও অজিঙ্কা রাহানে। আট নম্বরে টম ল্যাথাম থাকলেও অবনমন হয়ে নয় ও দশ নম্বরে আছেন দিমুথ করুনারত্নে ও এইডেন মার্করাম।
আগামী মাসের আগে ভারতের টেস্ট সিরিজ না থাকায় কহলির সুযোগ নেই মাত্র এক রেটিং পয়েন্টের ব্যবধানটি কমানোর। অন্যদিকে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট দিয়ে স্মিথের সামনে সুযোগ আরও এগিয়ে যাওয়ার।
টেস্ট র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০ ব্যাটসম্যান-
১. স্টিভ স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)- ৯০৪
২. ভিরাট কোহলি (ভারত)- ৯০৩
৩. কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)- ৮৭৮
৪. চেতেশ্বর পুজারা (ভারত)- ৮২৫
৫. হেনরি নিকোলস (নিউজিল্যান্ড)- ৭৪৯
৬. জো রুট (ইংল্যান্ড)- ৭২৬
৭. আজিঙ্কা রাহানে (ভারত)- ৭২৫
৮. টম ল্যাথাম (নিউজিল্যান্ড)- ৭২৪
৯. দিমুথ করুনারত্নে (শ্রীলঙ্কা)- ৭২৩
১০. এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)- ৭১৯