

বিপিএলের সপ্তম আসর নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। দলগুলো যখন নিজেদের গুছাতে শুরু করেছে তখনই হঠাৎ নিয়মে আসে পরিবর্তন, সাকিবের দলবদল নিয়ে তুলকালাম। সাম্প্রতিক গুঞ্জন বিপিএলের আসন্ন আসর নাও হতে পারে। তবে বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বেশ আশাবাদী সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার ব্যাপারে।
নতুন ইস্যুতে বিতর্ক সৃষ্টির আগে পরিকল্পনা মাফিক গতমাসেই হওয়ার কথা প্লেয়ার ড্রাফট। অথচ তখনই চলছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি-বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দফায় দফায় বৈঠক, দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা নিয়ে হচ্ছিল অনেক আলোচনা। আর এতেই ৫ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য বিপিএলের প্রাথমিক কার্যক্রমগুলো হয়ে পড়েছে ধীরগতির।
আইকন প্লেয়ার বিতর্কে ছাড় দিতে রাজি নয় কেউই, সব ফ্র্যাঞ্চাইজিরই দাবি অন্তত একজন স্থানীয় খেলোয়াড় আগে থেকেই চুক্তিবদ্ধ করার নিয়ম করা হউক সাথে দুই বিদেশী। এদিকে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের আগের মালিক বিপিএল থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিলেও তাদের পরিবর্তে এখনো মেলেনি নতুন মালিকের খোঁজ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হুট করে ঘোষণা দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাথে চুক্তি শেষ বলে জানানো বিসিবি এখনো দলগুলোর সাথে চুক্তিই করতে পারেনি। এত এত বিতর্ক আর আয়োজন এই অল্প সময়ের মধ্যে করা নিয়ে রয়েছে সংশয়, শঙ্কা জেগেছে বিপিএল আয়োজন নিয়েও।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলছেন যথাসময়ে বিপিএলের আসন্ন আসর আয়োজনের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী, শীঘ্রই মিলবে চিটাগাং ভাইকিংসের মালিকপক্ষও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিপিএলের সামনের আসর আয়োজনে আমরা আশাবাদী। বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বেশ আত্মবিশ্বাসী ঠিকভাবেই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে। চিটাগাংয়ের মালিক পক্ষ” এখনো পাইনি তবে তিনটি আগ্রহী পক্ষের সাথে কথা হচ্ছে। বিসিবি আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিবে। ”
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাথে চুক্তি শেষ, এই ইস্যুতেই যখন পুরো বিপিএলের আয়োজনে এসেছে নাটকীয়তা সে ইস্যুতেই এখনো ইতিবাচক সাড়া পায়নি বিসিবি। দলগুলো নতুন মেয়াদের জন্য করেনি চুক্তি, জালাল ইউনুস আশাবাদী দ্রুতই সমাধান হিবে সমস্যার। কেন দেরী হচ্ছে জানিয়েছে কারণও, ” খুব তাড়াতাড়িই টুর্নামেন্টের নিয়ম জানানো হবে, দলগুলোর সাথে চুক্তিও নবায়ন হবে দ্রুত। মূলত বিসিবি প্রধান নির্বাহী এই মুহুর্তে না থাকায় কাজের গতি থেমে থাকলেও আশাকরি তিনি আসার পরই সব দ্রততার সাথে এগোবে।”