

৬ উইকেটে ২৪২ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিলো আফগানিস্তান একাদশ। আজ স্কোরবোর্ডে আরো ৪৭ রান যোগ করেছে রাশিদ খানের দল। ৯৯ ওভার ব্যাটিং অনুশীলন করেছে সফরকারীরা। এরপর বল হাতে নিয়ে বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানদের কঠিন সময় উপহার দিয়ে ১২৩ এই অলআউট করে দিয়েছেন রাশিদ খান, জহির খানরা।

৬ রান নিয়ে রাশিদ খান, ২০ রান নিয়ে আফসার জাজাই দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। ব্যক্তিগত ১৩ রানের মাথায় সুমন খানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাশিদ। সুমনের বলে উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে থাকা সোহানকে ক্যাচ দেন রাশিদ।
কায়েস আহমেদকে নিয়ে অবশ্য স্বাগতিকদের শেষের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত করেন আফসার জাজাই। রাশিদ খান আউট হবার পর এই জুটি আরো ৩২ রান তোলে। ৯৯ ওভারে ২৮৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে আফগানিস্তান। ৩১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কায়েস আহমেদ। ৭৫ বলে ৪ চার, ১ ছয়ে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আফসার জাজাই।

বিসিবি একাদশের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন এনামুল হক বিজয় ও সাব্বির হোসেন। সাবধানী শুরুর পর শাপুর জাদরানের বলে ইহসানউল্লাহ জান্নাতকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৬ বলে ৪ রান করা সাব্বির।
নিজের প্রথম ওভারেই বাজিমাত করেন রাশিদ খান। ওভারের পঞ্চম বলে বিজয়কে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে ফেলেন রাশিদ। ৩৫ বলে ১ টি করে চার ও ছয়ে ১৯ রান করে আউট হন বিজয়। ১১.৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বিসিবি একাদশ।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ফজলে রাব্বি মাহমুদ। ৮ রান করে আহমেদ শিরজাদের বলে এলবিডব্লিউ হন রাব্বি। আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পান জহির খান। ৩২ বলে ২ চারে ১৩ রান করা নাইম হাসানকে ইব্রাহিম জাদরানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জহির। স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকা আল আমিন জুনিয়রের উইকেটও পান জহির খান। ৪৯ বলে ৫ চারে ২৯ রান করে জাবেদ আহমাদিকে ক্যাচ দেন আল আমিন জুনিয়র।
নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ইরফান শুক্কুরকে জহির খানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাশিদ খান। ১৫ রান করা নুরুল হাসান সোহানকে এলবিডব্লিউ করে নিজের তৃতীয় উইকেট পান জহির খান। ৩ রান করা সুমন খানকে বোল্ড করেন জহির খান, মেহেদী হাসান রানাকে কোন রান না করতে দিয়ে এলবিডব্লিউ করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন জহির। মাঝে ফারদিন অনিকে ফেরান রাশিদ খান।
৪৪.৩ ওভারে ১২৩ রান করে অলআউট হয় বিসিবি একাদশ।