

জফরা আর্চারের ঘন্টায় ৯০ মাইল গতির বাউন্সার সামলাতে না পেরে লর্ডসে ভূপতিত হন স্টিভ স্মিথ। যে আঘাতে লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসতো বটেই ছিটকে যান সদ্য সমাপ্ত হেডিংলি টেস্ট থেকেও। চলতি অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টেই ফেরার অপেক্ষায় স্মিথ, জানিয়েছেন বাউন্সারের আঘাতে মাঠের বাইরে যাওয়ার দিন সবচেয়ে বেশি মনে পড়েছে সতীর্থ ফিলিপ হিউজকে।

২০১৪ সালের অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগ শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে পেসার শন অ্যাবটের দেওয়া বাউন্সার গিয়ে লাগে অজি ব্যাটসম্যান ফিলিপ হিউজের ঘাড়ে। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়া হিউজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে নিজের ২৬ তম জন্মদিনের মাত্র তিন দিন আগে ২৭ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
হিউজের অমন অনাকাঙ্খিত মৃত্যু এখনো তাড়া করে ফেরে ভক্ত-অনুরাগী, সতীর্থদের। লর্ডসে জফরার বাউন্স সামলাতে না পেরে ব্যথায় কাতরানো অজি ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথও আঘাত পেয়ে সবার আগে হিউজকেই স্মরণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঠিক ওই সময় আমার মাথায় কিছু জিনিস ঘুরছিল। বিশেষ করে আঘাত পেয়ে আমি অতীতের কিছু জিনিস ভাবছিলাম। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি।”
জফরার পেসের বিপর্যস্ত হওয়ার আগে টানা তিন ইনিংসেই প্রায় করে ফেলছিলেন সেঞ্চুরি। প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় টেস্টেও আঘাত-চোটে জর্জরিত হয়ে খেলেন ৯২ রানের ইনিংস। একবছর পর টেস্টে ফিরে এমন রাজকীয় প্রত্যাবর্তন কজনেরই কপালে থাকে? মাঝে তৃতীয় টেস্ট মিস করা স্মিথ বলছেন পেসের ভয়ে নিজের খেলার ধরণে আনবেননা কোন পরিবর্তন।
নিজের খেলার ধরণ না বদলানো প্রসঙ্গে সাবেক এই অধিনায়ক যোগ করেন, “ না, আমি কিছুই বদলাবো না। এটা নিয়ে অনেক কথাই হচ্ছে , সে আমাকে আঘাত করেছে ঠিকই একেবারে ছিটকেতো দিতে পারেনি। সে আমাকে লর্ডসের উইকেটে মাথায় আঘাত করে কিছুটা উপরে উঠেছে এতটুকুই। ”