

অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে জয়ের জন্য ইংলিশদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ৩৫৯। চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ড এই রান তাড়া করে জয় পেলে তা হবে হেডিংলি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। অবিশ্বাস্য এই রেকর্ড জয় ফিরলো বেন স্টোকসের ব্যাটে। বেন স্টোকস চতুর্থ দিন খেললেন একাই। স্টোকসের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড হেডিংলিতে জয় ছিনিয়ে আনতে পারলো, পারলো অ্যাশেজকে সমতায় ফেরাতে। বেন স্টোকসের ব্যাটিং বীরত্বে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ১ উইকেটে জিতলো ইংল্যান্ড। ২১৯ বলে ১৩৫ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেন বেন স্টোকস।
বেন স্টোকস একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। অসম্ভব এই ম্যাচকে স্টোকস সম্ভব করে দেখালেন। ১৩৫ রানের হার না মানা একটি ইনিংস খেলেন। যাতে বল খরচ করেছেন ২১৯টি। ১১টি চার ও ৮টি ছয় ছিলো তার এই অতিমানবীয় ইনিংসে।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ১৭৯ রানে অলআউট হয়। জবাবে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬৭ রানে অলআউট হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৫৯ রান। ৩৫৯ রানের টার্গেট তাড়া করে ১ উইকেটে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন দুই ইংলিশ ওপেনার রুরি বার্নস ও জেসন রয়। এরপরে তৃতীয় উইকেটে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক জো রুট এবং জো ডেনলি। ৫৫ ওভার খেলে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন তারা। এর মধ্যেই অর্ধশতক তুলে নেন দুজনেই। তবে ৫৯ ওভারে জশ হ্যাজালউডের বলে আউট হন ডেনলি। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ১৫৫ বলে ৫০ রান।
ফিফটি করার পর ৭৭ রানে অধিনায়ক জো রুট আউট হয়ে যাওয়ার পর বেন স্টোকস-জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি বাঁধেন। বেয়ারস্টো (৩৬) আউট হয়ে যাওয়ার পরে বাটলার ও ক্রিস ওকস ৮ রানের ব্যবধানে আউট হয়ে যান।
এরপর লেজের দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলকে জেতান স্টোকস। তাতে অবশ্য দায় আছে অজিদের। রিভিউ শেষ করে ফেলা, ক্যাচ ফেলা, রান আউটের সুযোগ মিস করা- অজিরা হারার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করেছে। আর সেই সুযোগ লুফে নিয়ে ইংলিশদের জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন বেন স্টোকস