

দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে গড়েছেন অনেক রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেখা পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। পরের ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র পাঁচ রান দূরে আউট হয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে টানা দুই ম্যাচে শতক হাঁকানোর মতো অনন্য কীর্তির পাশে নিজের নাম লিখাতে পারলেন না তামিম। আবারো সেই ‘৯৫’ তেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে টাইগার ড্যাশিং ওপেনারের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত নার্ভাস নাইনটিজে চারবার আউট হয়েছেন তামিম। এরমধ্যে তিনবার হয়েছেন ওয়ানডেতে আর একবার সাদা জার্সি গায়ে। প্রতিবারই ৯৫ রানেই বিদায় নিয়েছেন তিনি! প্রথমবার ৯৫ রানে আউট হয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১০ সালে। তামিম স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘ওই ইনিংসটায় আমি ছয় মারার রিদমে ছিলাম। নব্বইয়ের ঘরেও তাই ছয় মারার চিন্তা মাথায় ঘুরছিল। আরেকটি ছয় মেরে সেঞ্চুরি করতে চেয়েই আউট হয়েছিলাম। নিজের মাঠে খেলা ছিল, খুব খারাপ লেগেছিল।’
তামিম দ্বিতীয়বার ৯৫ রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে। তামিমের কণ্ঠে, ‘মনে আছে, এর আগের বলটায় ওরা স্লিপ সরিয়ে নিয়েছিল। আর আমি তখন লেট কাট করে বাউন্ডারি মেরেছিলাম। পরের বলে আবারও তাই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বলে এক্সট্রা বাউন্স থাকায় বলটা গালিতে ক্যাচ চলে গেল।’
আগের দুবার উইকেট দিয়ে আসলেও ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেট দিয়ে আসেনি তামিম। তিনি জানান, ‘আগের দুবার যেমন উইকেট দিয়ে এসেছিলাম, এবার সেরকম হয় নি। বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লু হয়েছিলাম। এইজন্য দুঃখ বেশি নেই। কারণ, নিজের দোষে আউট হইনি।’
৯৫ তে তামিম চতুর্থ বারের মতো কাঁটা পড়েছেন চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওভালের ইনিংসটি নিয়ে তামিম তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন খানিকটা। তিনি জানান, ‘এদিন অনেক কষ্ট করে ব্যাটিং করেছি। একটি তৃপ্তি আছে, যদিও ৯৫ রানে আউট হলে কেউই খুশি হওয়ার কথা না। তবে সান্ত্বনা এটুকুই যে, উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসিনি। যে শট টা পুরো ইনিংসে ভালো খেলেছি সেই শর্ট খেলতে গিয়েই টপ এজ হয়েছে। বাজে শট খেলে আউট হলে দুঃখ বেশি হতো।’
চারবার একই রানে আউট হওয়া নিয়ে তামিমের ব্যাখ্যা, ‘এইসব আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না। এত খারাপ লাগে যে এর থেকে খারাপ অনুভূতি পৃথিবীতে খুব কমই আছে। আমি চারবার নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছি মানে চারটি সেঞ্চুরি মিস করেছি।’