

সাঙ্গাকার, জয়াবর্ধনে, দিলশানদের হারিয়ে লঙ্কা শিবির যেন নিজেদের হারিয়ে খোঁজা একটি দল। শক্তিমত্তা বিচারে গত কয়েক বছরে তারা হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের চাইতেও দুর্বল, সবশেষ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চাইতে ভালো ক্রিকেট খেললেও কাগজে কলমে পিছিয়েই আছে দ্বীপ দেশটি। আর আসন্ন সিরিজে বাংলাদেশক ধবল ধোলাই করেই উন্নতি করতে চায় র্যাংকিংয়ে জানালেন দলটির প্রধান নির্বাচক ডি মেল।

বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে থেকে শেষ করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সমান তিনটি জয় পেলেও বৃষ্টির কল্যাণে পাওয়া দুই পয়েন্ট তাদের এগিয়ে দেয় বাংলাদেশ থেকে। বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকা দেখলে মনে হতেই পারে শ্রীলঙ্কানরা বাংলাদেশ থেকে ভালো করেছে তবে বাস্তবতা হল ভিন্ন। শক্তিমত্তা আর র্যাংকিং, পরিসংখ্যানও অনায়াসে বাংলাদেশের পক্ষেই কথা বলবে।
বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে না পারলেও র্যাংকিংয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। দুদলের রেটিং পয়েন্টের ব্যবধানও বেশ ভালো। সাতে থাকা বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯০ যেখানে আটে থাকা শ্রীলঙ্কার ৭৯! কিন্তু এসব পরিসংখ্যান দূরে রেখে নিজেদের হারানো জৌলুশ ফেরাতে লঙ্কানদের লক্ষ্য বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে দিয়েই নিজেদের অবস্থানের পরিবর্তন করতে চায় লঙ্কানরা।
আগামী ২৬ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে হারিয়ে ধীরেধীরে উন্নতির পথে হাঁটতে বদ্ধ পরিকর একবারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও দুইবার রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করা শ্রীলঙ্কা। এ প্রসঙ্গে ডি মেল জানান,’ এ সিরিজে আমাদের মূল লক্ষ্য র্যাংকিংয়ে এগোনো। বাংলাদেশ আছে আটে আমরা সাতে, এখান থেকে একধাপ এগোতে হলে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের বিকল্প নেই৷ আমাদের এখন ভাবনাজুড়ে র্যাংকিংয়ে একধাপ উন্নতি।’
সনাথ জয়সুরিয়া, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, মুরালিধরনদের দিয়ে শুরু সাঙ্গাকারা,জয়াবর্ধনে হয়ে যুগে যুগে বহু তারকার জন্ম দেওয়া দেশ শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর আমূলে যায় বদলে, এরপর শিরোপা না জিতলেও ক্রিকেট বিশ্বে নিজেদের অবস্থা রেখেছে উপরের দিকেই। সম্প্রতি সময়ে এমন প্রভাবশালী একটি দলের নাজুক অবস্থায় চিন্তিত ডি মেলও, হতাশাভরা কন্ঠে জানালেন ধাপে ধাপে ফিরতে চান পুরোনো অবস্থানে,’ একটা সময় র্যাংকিংয়ে পাঁচের নিচে নামতাম না আমরা। আমাদের উচিৎ ধীরে ধীরে র্যাংকিংয়ে উন্নতির মাধ্যমে পুরনো অবস্থানে ফিরে যাওয়া।’