

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে হারের ষোলকলা পূর্ণ করে লজ্জার ইতিহাসকে সঙ্গী করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। নয় ম্যাচের সবকটিতেই হারের পর দেশে ফিরে অধিনায়কের দায়িত্ব হারান গুলবেদিন নাইব। তার পরিবর্তে এবার সব ফরম্যাটে আফগানদের অধিনায়ক হয়েছেন রশিদ খান। এত দিন পর এবার বিশ্বকাপ নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক আফগান অধিনায়ক গুলবেদিন নাইব। তার বক্তব্য, ‘বিশ্বকাপে ইচ্ছা করেই খারাপ খেলেছে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা। ম্যাচ হারের পর ড্রেসিংরুমে এসে নাকি সবাই হাসাহাসিতে মেতে উঠতেন।’
আফগানিস্তানের এক গণমাধ্যমের সাংবাদিক ওয়াসিল ওয়েসালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তান বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক গুলবেদিন নাইব নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন,
‘সিনিয়রদের পারফরম্যান্সের ওপর আফগানিস্তান দল নির্ভরশীল। কিন্তু এই সিনিয়ররাই বিশ্বকাপে ইচ্ছে করে খারাপ খেলেছে। যার প্রভাব পড়েছে দলের ফলাফলের ওপর। তারা আমার কথার কোনো গুরুত্ব দিত না। ম্যাচ হেরে তারা দুঃখিত না হয়ে ড্রেসিংরুমে হাসাহাসি করত! ম্যাচের মধ্যে আমি যখন তাদের কোনো নির্দেশনা দিতাম, তখন তারা আমার দিকে তাকাতই না!’
বিশ্বকাপের আগে হুট করেই অধিনায়ক পাল্টে ফেলেছিল আফগানিস্তান। দেশটির ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক আসগর আফগানকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে চমকে দিয়েছিল তারা। এরপর বাড়তি চমক দিয়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের জন্য তিনজন আলাদা অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছিল দলটি। সঙ্গে-সঙ্গেই রশিদ খান, মোহাম্মদ নবির মতো সিনিয়র তারকারা প্রকাশ্যে সে সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু এর ফলাফল কিছুই হয়নি।
তবে বিশ্বকাপে গুলবেদিন নাইবের নেতৃত্বে ভরাডুবি হয় আফগানদের। এবার রশিদ খানের কাছে নেতৃত্ব হারিয়ে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গুলবেদিন।
ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপে লিগ পর্বের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে ছিল আফগানিস্তান। নয় ম্যাচের সবকটিতে হারে তারা। কয়েকটি ম্যাচে অবশ্য বেশ লড়াই করেছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে জাগিয়েছিল জয়ের সম্ভাবনাও। কিন্তু দলনেতা নাইবের ভুল সিদ্ধান্তে জয় অধরাই থেকে যায় তাদের।