

সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেকে দিয়েছেন উজাড় করে। ব্যাটে বলে শুধু দলের নয় ছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা পারফর্মারদের তালিকায় উপরের দিকে। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতায় গ্রুপ পর্বেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান বলছেন দলের সাথে থাকা বর্তমান ক্রিকেটারদের পাশে থেকে সেরাটা বের করে আনলে চার বছর পর ভালো ফলই পাবে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিদায়ের পর সবাই দেশে ফিরলেও ছুটি নেওয়া সাকিব সস্ত্রীক ঘুরে বেড়াচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র। আর ওখানেই গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেওয়া এক অনুষ্ঠানে সম্বর্ধিত হন বাংলাদেশের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান। অনুষ্ঠানে সাকিব বরাবরের মতই জানিয়েছেন বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সে হতাশ, আগামী চার বছরের জন্য চাই এখনই পরিকল্পনা।
ব্যাট হাতে ৮ ইনিংসে ৬০৬ রান, টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বল হাতেও দলকে এনে দিয়েছেন ১১ টি ব্রেক থ্রো অথচ ৯ ম্যাচে দল জিতেছে মাত্র তিনটিতে। যার সবকটিতেই আবার সেরা খেলোয়াড় তিনি নিজে। জ্যাকসন হাইটসের বেলোজিনো পার্টি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দলীয় ব্যর্থতা নিয়ে সাকিবের সহজ স্বীকারোক্তি, ‘আমরা ভালো খেলেছি বলা যায় কিন্তু এমন পারফরম্যান্সে আমি খুশিনা। দলের অন্য খেলোয়াড়েরাও খুশি নয় বলেই জানি।’
আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশী খ্যাতিমানদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সংবর্ধনায় সাকিবকে ক্রেস্ট তুলে দেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট রিয়েল স্টেট বিনিয়োগকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন। নিজের অর্জনের খাতাটা বেশ দীর্ঘ, ক্যারিয়ার জুড়ে মুকুটে যোগ করেছেন একের পর এক সাফল্যের পালক। তবুও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জিততে পারলে ক্যারিয়ার শেষে তুলতে পারবেন তৃপ্তির ঢেকুর এমনটাই মত সাকিবের, আর যা হবে তার ক্যারিয়ারের সেরা অর্জনও।
বিশ্বকাপে ভালো ফল পেতে এখনই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া জরুরী বলে মনে করেন সাকিব। প্রয়োজন খারাপ সময়েও ক্রিকেটারদের পাশে থাকা উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘ যেসব খেলোয়াড় আগামী চার বছর দলের সাথে থাকবে তাদের সব ধরণের সুবিধা দিতে হবে। ভালো-খারাপ সবসময় তাদের পাশে থাকতে। তাদের নিয়ে পরিকল্পনাটা এখন থেকেই নেওয়া শুরু করলে চার বছর পর ভালো ফলই আসবে।’