

আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে ২৭৮ রান করে ৫০ ওভার শেষ করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বাংলাদেশের দেওয়া বড় টার্গেটে ব্যাট করতে এসে স্কোরবোর্ডে ২৮ রান তুলতেই প্রথম উইকেট হারায় আফগানরা। বাংলাদেশকে শুরুতেই উইকেট এনে দেন পেসার শফিউল ইসলাম। দলীয় ১৩৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আফগান’রা। ৪৩ ওভারে ১৯৭ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। এরপরও চট্টগ্রামে আগানিস্তানের কাছে ৪ উইকেটে হারলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল আফগান’রা।

১২৭ রান করা ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে ৪৭ তম ওভারে শফিউল ইসলাম প্যাভিলিয়নে ফেরালেও স্বস্তিতে ছিলো না বাংলাদেশ। শেষদিকে শারাফুদ্দিন আশরাফ (১৭ বলে ৩৬*) ও ফজল নিয়াজাই (৮ বলে ১৫*) এর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটের জয় পায় আফগানিস্তান ‘এ’ দল।
ইনিংসের শুরুতে শফিউল ইসলামের বলে ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজ রাহির হাতে ক্যাচ তুলে ফেরার আগে করেন ১৯ বলে ২১। আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন উসমান গনি। কিন্তু ইনিংসের ২৪তম ওভারে ফরহাদ রেজার বলে রান-আউটের ফাঁদে পড়েন ২৬ রান করা উসমান গনি।
আফগানিস্তান ‘এ’ দলের অধিনায়ক নাসির জামালকে অনিয়মিত বোলার সাব্বির রহমান লেগ স্পিনের ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফেরান ১১ রানে। দারউইশ রাসুলিকে ইনিংস বড় করতে দেননি আবু হায়দার রনি। ১৪ বলে ৭ রান করা রাসুলির স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেন পেসার আবু হায়দার রনি। এরপর ইনিংসের ৪৩তম ওভারের শেষ বলে করিম জানাতকে আফিফের কাছে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আবু জায়েদ রাহি। ফেরার আগে করিম জানাতের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। তখন আফগানিস্তান ‘এ’ দলের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৯৭* (৪৩ ওভার শেষে)
বল হাতে শফিউল ইসলাম ২ উইকেট, আবু জায়েদ রাহি, আবু হায়দার রনি ও সাব্বির রহমান ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ব্যাট করতে পাঠান আফগানিস্তান ‘এ’ দলের অধিনায়ক নাসির জামাল।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক বিজয়। ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৬ রান করে এনামুল হক বিজয় ফেরেন করিম জান্নাতের বলে নাসির জামালকে ক্যাচ দিয়ে। দলের রান তখন ৯ ওভারে ৫৬। তিনে নামা অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের সাথে জমে উঠেছিলো ওপেনার ইমরুল কায়েসের জুটি।

তবে ৫৫ বলে ৫ চারে ৪০ রান করে আউট হন ইমরুল কায়েস, দলের রান তখন ৯৮। এরপর মিঠুন দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তরুণ মোহাম্মদ নাইম শেখকে নিয়ে। প্রায় ১০০ রানের জুটি গড়েন এই দুইজন। ৪৯ রান করে আউট হন নাইম।
সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক মিঠুন। তবে আউট হন ব্যক্তিগত ৮৫ রানের মাথায়। এরপর দলের স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলেন সাব্বির রহমান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে প্রথম ম্যাচের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আফিফ হোসেন আউট হয়েছেন ৮ রান করে। ১ রান করে ফেরেন ফরহাদ রেজাও। মেহেদী হাসান ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
খুব বেশি বড় শট খেলতে দেখা যায়নি সাব্বিরকে। ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন রান আউট হয়ে। ৪৯.৫ ওভারের মাথায় ছক্কা হাঁকান আবু হায়দার রনি। শেষ বল থেকে ১ রান আসলে ২৭৮ রানে থামে ‘এ’ দলের রানের চাকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ ‘এ’ দল ২৭৮/৯ (৫০), ইমরুল ৪০, বিজয় ২৬, মিঠুন ৮৫, নাইম ৪৯, সাব্বির ৩৫, আফিফ ৮, ফরহাদ ১, মেহেদি ১০, রনি ৭*, শফিউল ০, আবু জায়েদ ১*।
আফগানিস্তান ‘এ’ দলঃ ২৮১/৬ (৪৯.১ ওভার) ইব্রাহিম জাদরান ১২৭, শারাফুদ্দিন আশরাফ ৩৬*) ও ফজল নিয়াজাই ১৫*, করিম জানাত ২৪; শফিউল ২/৫৯, রাহি ১/৫৮, রনি ১/৫৬, সাব্বির ১/১০
ফলাফলঃ আফগানিস্তান ‘এ’ দল ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ ইব্রাহিম জাদরান (১২৭ রান)