

অনেক হাঁকডাক দিয়ে বিশ্বকাপে এসে দেশে ফিরেছে খালি হাতে। সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে কোন জয় ছাড়া দেশে ফেরা একমাত্র দেশ আফগানিস্তান। ভালোমানের কিছু খেলোয়াড় ও তুঙ্গে থাকা আত্মবিশ্বাসের পরও কেন এমন নাজুক অবস্থা? বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরই দলটির সব ফরম্যাটের অধিনায়ক হওয়া রাশিদ খান বলছেন প্রতিভার কমতি ছিলনা কেবল প্রয়োগেই সমস্যা ছিল। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রমাণ করতে চান দল হিসেবে তারা কতটা ভালো।
সাম্প্রতি সময়ে নানা বিতর্কে খবরের শিরোনাম হয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট। বিশ্বকাপের ঠিক আগেই আসগর আফগানের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়ে বিতর্কের শুরু, তিন ফরম্যাটে ঘোষণা করা হয় তিন অধিনায়কের নাম। ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া গুলবেদিন নাইব বিশ্বকাপে হয়েছেন পুরোদস্তুর ব্যর্থ, দল হেরেছে সবকটি ম্যাচে। দেশে ফেরার পরই ব্যর্থ গুলবেদিনকে সরিয়ে সব ফরম্যাটেই অধিনায়কত্বের ভার তুলে দেওয়া হয় আগে থেকেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা লেগ স্পিনার রাশিদ খানের কাঁধে।
আকষ্মিক দায়িত্ব পেয়ে রাশিদ বলছেন তিনি প্রস্তুতই ছিলেন। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পাশাপাশি ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়কও ছিলেন রাশিদ, ফলে খুব অবাক হননি বলেই জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
‘আমি একটুও অবাক হয়নি। আমি আগেই থেকেই সহ-অধিনায়ক ছিলাম। মানসিকভাবে আমি এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। এটা সত্য যে একটু তাড়াতাড়িই হয়ে গেছে, কিন্তু যখন এটি জাতীয় দল ও দেশের ব্যাপার হয়ে আসে আপনাকে সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিদ কথা বলেন নিজেদের সবশেষ বিশ্বকাপ ব্যর্থতা নিয়েও। প্রতিভার ঘাটতি ছিলনা তবে দেখছেন উন্নতির জায়গা,
‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের দক্ষতা ও প্রতিভার কমতি ছিলনা তবে আমাদের অনেক উন্নতির প্রয়োজন। আমাদের জানা প্রয়োজন বড় দলগুলোর বিপক্ষে কীভাবে খেলতে হবে, তাদের বিপক্ষে নামার আগে প্রস্তুতিটাও কেমন হওয়া উচিৎ। আমরা দেখেছি, কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে বিশ্বকাপে আমাদের।’
পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩ সালে ভারতে, কিন্তু এর আগেই আগামীবছর অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি। রাশিদ বলছেন তাদের নজর এখন অস্ট্রেলিয়াতে, প্রমাণ করতে চান দল হিসেবে কতটা উন্নত তারা,
‘আমি মনেকরি ২০২৩ বিশ্বকাপ এখনো অনেক দূরে। এই মুহুর্তে আমাদের নজর ও লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আমরা দেখাবো আমরা কতটা ভালো, আরও দেখাব শেষ হওয়া বিশ্বকাপের সাথে আমাদের পারফরম্যান্সের তুলনা। আমাদের কাজ কেবল উন্নতি করতে হবে এবং যেসব ভুল করেছি সেসব কমানো। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের বেশ সামর্থ্য আছে, আমরা সেরা দলই।’
এদিকে ২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে এই আফগান তারকা আরও যোগ করেন,
‘২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য আমাদের এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ৫০ ওভারের ম্যাচের জন্য আমাদের সঠিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। যতই আমরা বড় দলের বিপক্ষে খেলবো ক্রমশই উন্নতি করবো। এজন্যই বড়দলগুলোর বিপক্ষে বেশি করে ম্যাচ ও সিরিজ চাই।”