

খালেদ মাহমুদ সুজন বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায়। বিশ্বকাপ অব্দি টাইগারদের কোচ থাকা স্টিভ রোডসের বিদায়ের পর থেকেই তাকে নিয়ে কথাবার্তা বেড়েছে। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসাবে দলের সাথে থাকবেন তিনি। অনেকবারই তিনি যে টাইগারদের মূল কোচ হতে চান সেটা জানিয়েছেন প্রকাশ্যে। এবার ব্যাখ্যা দিলেন কেনো তিনি নিজেকে যোগ্য মনে করেন।
শ্রীলঙ্কায় যাবার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমি নিজেকে যোগ্য মনে করি। আমি কতটুকু যোগ্য জানি না। তবে আমি মনে করি, এটা (কোচিং) কোনো রকেট সায়েন্স নয়। অন্য কোচরা বলেন, আমরা লেভেল থ্রি, ফোর করেছি। আমিও ২০০৬-০৭ সালে তা করেছি। আর করে বসে ছিলাম, তাও কিন্তু নয়, মাঠে কাজ করেছি। ক্রিকেটের কৌশলগুলো তো সবারই একই রকম। স্কয়ার কাট সবাই একভাবেই মারে বা ইনসুইং, আউট সুইং একই রকম থাকে। এটা নির্ধারিত বিষয়।’
কিছু ফ্যাক্টরে নিজেকে বাইরের দেশের কোচের যেয়ে এগিয়েও রাখলেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
‘আমি মনে করি, যেহেতু আমি এ দেশে বড় হয়েছি, এই খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলেছি, মাঠে আমার জন্য পরিকল্পনা সাজানো অনেক সহজ হবে। আমি একেকজনের মানসিকতা খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারি। ক্রিকেট অনেকটা মানসিক খেলা। ১১ টা মানুষকে মাঠে এক করা, টিম স্পিরিট তৈরি করে ম্যাচ জেতানোর ব্যাপার থাকে। তো সেটার জন্য মনে করি যে আমি পারি। আমার জন্য সহজ হয়। এটা আমার জন্য বাড়তি সুবিধা। একটা নতুন কোচ আসলে যেটা হয় একটা টিমকে চেনা, নতুন খেলোয়াড়কে চেনা-বোঝা-এটা করতে করতে অনেক সময় চলে যায়। সেটা আমার লাগবে না। জুনিয়র যেসব খেলোয়াড় আছেন, তাদের সবার সঙ্গেই আমি কাজ করে অভ্যস্ত। জাতীয় দলের বাইরেও যদি যায়, এটা আমার জন্য বাড়তি সুবিধা।’
প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতা ছাড়াও বিপিএলে কোচ হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে সুজনের। ১৩ বছর থেকে আছেন এই ক্রিকেটের সঙ্গেই।
‘ক্যারিয়ার (কোচিং) ১৪-১৫ বছর হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন বড় দলের সঙ্গে কাজ করেছি। প্রিমিয়ার লিগটা যদি ওভাবে না ধরি বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) ৫ বছর ধরে প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করছি। চিটাগংয়ে ছিলাম, পরে ঢাকা ডায়নামাইটসে কাজ করছি। সুতরাং আমার তো অভিজ্ঞতা আছে কোচিংয়ের। আর আমি তো বললাম, এটা কোনো রকেট সায়েন্স নয়। আমার ক্রিকেটে হাতেখড়ি ১৩ বছর বয়স থেকে। ক্রিকেটের সঙ্গেই আছি, নানা ধরনের কোচের সঙ্গে কাজ করেছি। কারা কী করতে চায়, কীভাবে টিম হ্যান্ডেল করে—সবকিছু মিলিয়ে ক্রিকেটের ব্যাপারে আমি কতটুকু ইচ্ছুক। সবকিছু মিলিয়ে ক্রিকেটের ব্যাপারে আমি খুবই আগ্রহী।’