

স্টিভ রোডসের বিদায়ের পর ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে যার নাম উচ্চারিত হচ্ছিল তিনি খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত কোচ হতে নিজের অনীহার কথা প্রকাশ্যেই বলেছেন এই বিসিবি পরিচালক, জানিয়েছেন দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব পেতেই আগ্রহী। অথচ বিসিবির দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সময়সীমা পার হলেও আবেদনই করেননি সুজন।
কদিন আগে নিজেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেলে ছেড়ে দিবেন বিসিবির অন্যান্য পদও। কোচিং তার আলাদা একটা জায়গাজুড়ে আছে, বলা চলে আবেগের বিষয়ও। দেশের ঘরোয়াক্রিকেটে বড়সড় ক্লাবগুলোর কোচই তিনি, একটি সনামধন্য ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচও । কিন্তু বিসিবির দেওয়া বিজ্ঞপ্তির সময়সীমা শেষ হলেও কেন আবেদন করেননি খালেদ মাহমুদ? নিজেই জানিয়েছেন কারণ,
‘খেলোয়াড়ি জীবন থেকেই আমি অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে আসছি। এখানেও অধিনায়কের মতামতকেই দিয়েছি প্রাধান্য, আমার অধিনায়কের কাছ থেকে কোন ইতিবাচক সাড়া পাইনি বলেই আবেদন করিনি।’
এখানে অধিনায়ক বলতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনপকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। বিসিবির বেতনভুক্ত কর্মকর্তা বলে খালেদ মাহমুদের এই আঙ্গিনায় অধিনায়ক বিসিবি বসই।
খালেদ মাহমুদ যে নাজমুল হাসান পাপনের ভাবনায় নেই তা আগেই স্পষ্ট ছিল। পাপন নিজেই জানিয়েছেন, ‘আমরা উপমহাদেশের কাউইকেই চাচ্ছিনা। উপমহাদেশের বাইরের তবে উপমাদেশের পরিবেশ ও খেলোয়াড় সম্পর্কে ধারণা রাখে এমন কাউকে চাই। যার উপমহাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।’ এমনকি ভারপ্রাপ্ত কোচ হওয়ার ব্যাপারেও খালেদ মাহমুদের সাথে কোন কথা হয়নি পাপনের।
এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খালেদ মহমুদ দুদিন আগেই বলেছেন দলে তার ভূমিকা কী সেটাই এখনও পরিষ্কার নয়। আগামীকাল(২০ জুলাই) শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে টাইগাররা, অথচ এখনও ভারপ্রাপ্ত কোচ জানেনইনা দলে মূলত তার ভূমিকা কী,
‘কোন কথা হয়নি আমার সাথে, বোর্ড আলোচনাও করেনি এ ব্যাপারে। আকরাম ভাই বলেছে তুই আপাতত দেখ, যেহেতু আমাদের এখন কোচ নেই। এজন্যই দেখাশোনা করছি। আনুষ্ঠানিক কোন যোগাযোগ আমার সাথে হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা আমি এতদিন ধরে দেশের ক্রিকেটে কাজ করছি, দেশের স্বার্থে কাজ করি। দেশের প্রয়োজনেই আছি অথচ এখনও কোন যোগাযোগই হয়নি, আসলে আমি জানিইনা দলে কি হিসেবে আছি।’
এদিকে খালেদ মাহমুদ ছাড়া অন্যকোন দেশি কোচও বিসিবির দেওয়া প্রধান কোচের খালি পদের জন্য আবেদনই করেননি। ফলে স্পষ্ট ঘুরেফিরে বিসিবি সভাপতির কথাই বাস্তবে রূপ নিবে, সাকিব-তামিমরা গুরু হিসেবে পাচ্ছেন বিদেশি কাউকেই, আরও স্পষ্ট করলে উপমহাদেশের বাইরের কোন কোচকে।