

১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপে অভিষিক্ত জিম্বাবুয়েকে ছাড়া এবারই প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি, খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ সহ নানামুখী জটিলতায় বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্র থেকে অনেকটাই বিস্মৃত জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের অবস্থা এতোটাই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে, আইসিসি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে বোর্ড। আইসিসির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে জিম্বাবুয়ের।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য ছিল জিম্বাবুয়ে। ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে এবার নিষিদ্ধের সঙ্গে সদস্যপদ হারায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। এতে করে আইসিসির কাছ থেকে কোনো প্রকার অনুদান পাবে না তারা, এমনকি আইসিসির কোনো ইভেন্টে অংশগ্রহণও করতে পারবে না দল। লন্ডনের আইসিসির বার্ষিক সভায় এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।
আবারও দুর্নীতির অভিযোগ, আবারও টালমাটাল জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। গেল মাসে দুর্নীতি তদন্তের জন্য জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান প্রশাসনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে দেশটির ক্রীড়া এবং চিত্ত বিনোদন সম্পর্কিত কমিশন (এসআরসি)।
পরবর্তীতে তারা একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করে। যা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির নিয়ম বিরোধী। আর এসব কারণেই আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। আইসিসি সংবিধানের ২.৪ ধারার ‘সি’ ও ‘ডি’ অনুচ্ছদে লঙ্ঘন করেছে তারা।
দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সংকটে ভুগছে জিম্বাবুয়ে বোর্ড। তবে পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশ হিসেবে আইসিসির কাছ থেকে বছরে ৯ মিলিয়ন পাউন্ড পায় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যার চক্র থেকে বের হতেই পারছে না তারা। দুর্নীতিতে নিমজ্জিত জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের অবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। অ্যান্ড ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিকদের একসময়ের দুর্দান্ত জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট গত কয়েক বছর ধরে ধুঁকে ধুঁকে চলছে। ভেঙে পড়েছে ক্রিকেট কাঠামো।
যদিও আইসিসি কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করলেও তাদের খেলোয়াড়দের খেলার সূচিতে কোনো পরিবর্তন আনে না। কিন্তু এবার জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রে চিত্র যেন ভিন্ন। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বোর্ড কোনো অনুদান পাবে না। এবং জিম্বাবুয়ে নারী ও পুরুষ ক্রিকেট দল নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বাছাইপর্বে খেলতে পারবে না।