

এমন ফাইনাল আগে দেখেনি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ ফাইনালের বিতর্কিত চার নিয়ে এখনও জল্পনা অব্যাহত। বিবিসিকে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের ক্রিকেটার জেমস অ্যান্ডারসন বলেছেন স্টোকস নাকি ওই বিতর্কিত বাউন্ডারির পর আম্পায়ারকে বলেন, এই বাউন্ডারি না দিতে। জেমস অ্যান্ডারসন দাবি করেছেন, “স্টোকস ওই চারের পরেই আম্পায়ারকে গিয়ে বলেন এই চার রান বাদ দেওয়া যায় কিনা তা দেখার জন্য।”
ম্যাচের শেষ ওভারে রান নেওয়ার সময় কিউই ফিল্ডার গাপটিলের ছোড়া বল বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে চার হয়ে যায়। সেখানেই ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নির্ধারণ হয়ে যায়। যেটা আসলে দু রান ছিল পরে তাঁর ব্যাটে লেগে সেই বল বাউন্ডারিতে গিয়ে চার হয়ে যায়৷ ওই বলে ছয় রান পান তিনি। মার্টিন গাপটিল যে দুর্দান্ত থ্রো করলেন, সেটা গিয়ে লাগল স্টোকসের ব্যাটে। সে বল সেই ছুট লাগাল, সীমানা পেরোনোর আগে আর থামল না! দুই রানের বদলে এল ৬ রান!
বিবিসির পডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইংলিশ গতি তারকা জেমস অ্যান্ডারসন জানান,
‘ক্রিকেটীয় রীতি অনুসারে, যখন স্টাম্প লক্ষ্য করে বল ছোঁড়া হয় এবং তা আপনার গায়ে লেগে মাঠের ফাঁকা জায়গায় চলে যায়, তখন আপনি রান নেবেন না। কিন্তু বল বাউন্ডারিতে চলে গেলে, নিয়ম হলো এটা চার এবং আপনার কিছু করার থাকে না। কিন্তু নিয়মে আছে, এটা চার আর এভাবেই তা লেখা রয়েছে।’
স্টোকস নাকি নিজে থেকে সেই অতিরিক্ত চার রান ছেড়েও দিতে চেয়েছিলেন,
‘মাইকেল ভন (সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক) ম্যাচ শেষে বেন স্টোকসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তার কাছ থেকে আমি জানতে পেরেছি যে, স্টোকস আম্পায়ারদের কাছে গিয়ে বলেছিলেন, “আপনারা কি বাড়তি চার ফিরিয়ে নিতে পারেন? আমরা এটা চাই না”।’
এই চার নিয়েই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, মোট ছয় রান দেওয়া উচিত হয়নি কারণ বল যখন থ্রো করা হয়েছিল তখন দুই ব্যাটসম্যান একে অপরকে ক্রস করেননি। তাই হিসেব মতো এটি পাঁচ রান হওয়ার কথা।
যদি এই চার রান বাদ দেওয়া হত, তা হলে নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি জিতে যায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এই চার দিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রথম বার বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড।