

বিদর্ভা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিপক্ষে প্রথম চারদিনের ম্যাচ ড্র করার পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬ জুলাই থেকে ডঃ ডি ওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বিসিবি একাদশ। মিনি রঞ্জি ট্রফি খ্যাত ডঃ কে থিম্মাপায়া স্মৃতি মাল্টি ডে অল ইন্ডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিনে তাইজুল-তাসকিনরা মুমিনুল হকের মুখে হসি ফুটিয়েছিলেন। ব্যাট হাতেও বিসিবি একাদশের শুরুটা হয়েছে ভালো।
৮ উইকেটে ঠিক ৩০০ রান করে চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিন শেষ করেছিল ডঃ ডি ওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। ২৩৯ বলে ১৭ চারে ১১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন আশাই সারদেশাই।

আজ দ্বিতীয় দিনে এসে ৩৩১ রান করে থেমেছে ডঃ ডি ওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। আগের দিনের চার উইকেটের সাথে আওকে আরো দুই উইকেট যোগ করেছেন তাইজুল ইসলাম। ১২৮ রান করা আশাইকে ফিরিয়েছেন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বির ক্যাচ বানিয়ে। ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামা আকিব কুরেশীকে খুলতে দেননি রানের খাতা।
তাইজুলের বোলিং ফিগার- ৩৩.৫- ৭- ১৪৪- ৬।
বিসিবি একাদশের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন সাদমান ইসলাম অনিক ও জহুরুল ইসলাম। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯৩ রান। ৭৭ বলে ৯ চারে ৪৯ রান করে মুকেশ চৌধুরীর বলে বোল্ড হন সাদমান। এরপর জহুরুল ইসলাম তিনে নামা মুমিনুল হককে সঙ্গ দিতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১১৬ বলে ৭ চারে ৪৫ রান করে নওশাদ শেখের বলে বোল্ড হন জহুরুল।
নওশাদ শেখ এতেই থেমে থাকেননি। পরের ওভারে ২৩ বলে ৩ চারে ১৮ রান করা মুমিনুল হককে ফিরিয়েছেন আমান খানের ক্যাচ বানিয়ে।
চারে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত পাঁচে নামা নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামলে নেন। ৫০ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রান করে আউট হন শান্ত।
এরপর আরিফুল হক ১৭ বলে ১ টি করে চার ও ছয়ে ১৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। বিসিবি একাদশের রান তখন ১৯৯। এরপর বিসিবি একাদশের রানের চাকা সাইফ হাসানকে সাথে নিয়ে সচল রেখেছেন নুরুল হাসান সোহান। ৯১ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৬৭ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। ৬৫ বল খেলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৭ রান করে অপরাজিত আছেন সাইফ হাসান।

৫ উইকেটে ২৬১ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বিসিবি একাদশ, ডঃ ডি ওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির চেয়ে পিছিয়ে আছে ৭০ রানে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ (বিসিবি একাদশ):
সাদমান ইসলাম অনিক, জহুরুল ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), আরিফুল হক, নাইম হাসান, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও শহিদুল ইসলাম।
চারটি ভিন্ন জোনে (এ, বি, সি, ডি) মোট ১৬ টি দল অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। প্রত্যেক জোন থেকে গ্রুব পর্বে থেকে শীর্ষে থাকা দল উঠবে সেমিফাইনালে। ‘এ’ জোনের চ্যাম্পিয়ন খেলবে ‘ডি’ জোনের চ্যাম্পিয়নের সাথে। ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা একে অপরের মুখোমুখি হবে সেমিতে।
‘এ’ জোন
১. কার্নাটাকা স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) একাদশ
২. দ্যা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল
৩. হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
৪. কেরালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
‘বি’ জোন
১. কেএসসিএ সেক্রেটারি একাদশ
২. বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ
৩. বিদর্ভা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
৪. ডঃ ডি ওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি
‘সি’ জোন
১. কেএসসিএ কোল্টস
২. মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
৩. টিম রাজস্থান
৪. ছত্তিসগড় স্টেট ক্রিকেট সংঘ
‘ডি’ জোন (মাইসোর)
১. কেএসসিএ প্রেসিডেন্ট একাদশ
২. ঝাড়খন্ড স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
৩. দ্যা অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
৪. মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন