

বিদর্ভা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিপক্ষে প্রথম চারদিনের ম্যাচ ড্র করার পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ থেকে ডঃ ডি ওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বিসিবি একাদশ। মিনি রঞ্জি ট্রফি খ্যাত ডঃ কে থিম্মাপায়া স্মৃতি মাল্টি ডে অল ইন্ডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিন ভালোই কেটেছে মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দলের।
ব্যাঙ্গালোরের এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ডঃ ডি ওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির অধিনায়ক নওশাদ শেখ। বিসিবি একাদশে আসে দুই পরিবর্তন- ইয়াসির আলি রাব্বির পরিবর্তে সাদমান ইসলাম অনিক ও এবাদত হোসেনের পরিবর্তে শহিদুল ইসলাম।
দিনের শুরুতেই আইপিএলে ভিন্ন তিন দলের (কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, রাজস্থান রয়্যালস) হয়ে ৪৯ ম্যাচ খেলা মানান বোহরাকে সাজঘরে ফেরান শহিদুল ইসলাম। নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ২ রান করা বোহরাকে ফেরান শহিদুল, ডঃ ডি ওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ইনিংসে তখন চলছিলো ৫.৪ ওভারের খেলা।
অপর ওপেনার হার্দিক তামোর তিনে নামা আশাই সারদেশাইকে সাথে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়েন। ২০ রান করে তাইজুল ইসলামের বলে স্টাম্পড হন হার্দিক। পঞ্চাশোর্ধ্ব রান আসে সারদেশাই-নওশাদ শেখের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে। এই জুটিও ভাঙেন তাইজুল, ৩৮ রান করা নওশাদকে নুরুল হাসানের ক্যাচ বানিয়ে।
আশাই সারদেশাই ও শুভাম রঞ্জনের চতুর্থ উইকেট জুটি (৮৬ রানের) সবচেয়ে ভোগায় বিসিবি একাদশকে। এই জুটি ভাঙতেও এগিয়ে আসেন তাইজুল। বাঁহাতি স্পিনে ৫০ রান করা রঞ্জনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর সরফরাজ খানকে ব্যক্তিগত ১৭ রানের মাথায় নাইম হাসানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তাইজুল। নাইম হাসান ফেরান ৭ এ নামা সাইরাজ পাতিলকে (১)।

৮ এ নেমে আমান খান করেন ২ চার, ৪ ছয়ে ৪৩ রান। এই ঝড় থামে তাসকিন আহমেদের গতিতে। পরে তাসকিন ফেরান ইকবাল আবদুল্লাহকেও (৪)।
প্রথম দিনে ডঃ ডি ওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ৮ উইকেট ফেলে দিলেও তাইজুল-তাসকিন-নাইমরা আউট করতে পারেননি আশাই সারদেশাইকে। ২৩৯ বলে ১৭ চারে ১১২ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। ৮ উইকেটে ঠিক ৩০০ রান করে প্রথম দিন শেষ করেছে তাঁরা।
বিসিবি একাদশের হয়ে তাইজুল ইসলাম ৪, তাসকিন আহমেদ ২ উইকেট নিয়েছেন। ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন শহিদুল ইসলাম ও নাইম হাসান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ (বিসিবি একাদশ):
সাদমান ইসলাম অনিক, জহুরুল ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), আরিফুল হক, নাইম হাসান, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও শহিদুল ইসলাম।
চারটি ভিন্ন জোনে (এ, বি, সি, ডি) মোট ১৬ টি দল অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। প্রত্যেক জোন থেকে গ্রুব পর্বে থেকে শীর্ষে থাকা দল উঠবে সেমিফাইনালে। ‘এ’ জোনের চ্যাম্পিয়ন খেলবে ‘ডি’ জোনের চ্যাম্পিয়নের সাথে। ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা একে অপরের মুখোমুখি হবে সেমিতে।
‘এ’ জোন
১. কার্নাটাকা স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) একাদশ
২. দ্যা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল
৩. হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
৪. কেরালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
‘বি’ জোন
১. কেএসসিএ সেক্রেটারি একাদশ
২. বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ
৩. বিদর্ভা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
৪. ডঃ ডি ওয়াই পাতিল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি
‘সি’ জোন
১. কেএসসিএ কোল্টস
২. মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
৩. টিম রাজস্থান
৪. ছত্তিসগড় স্টেট ক্রিকেট সংঘ
‘ডি’ জোন (মাইসোর)
১. কেএসসিএ প্রেসিডেন্ট একাদশ
২. ঝাড়খন্ড স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
৩. দ্যা অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
৪. মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন