

শিরোপার প্রত্যাশা নিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলো ভিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। গ্রুপ পর্ব ১ নম্বরে থেকে শেষ করলেও সেমিফাইনালে যেয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে শেষ হয় ভারতের ২০১৯ বিশ্বকাপ মিশন। এরপর থেকে এটা অনুমিতই ছিলো বদল আসবে ভারতের কোচিং স্টাফে।

২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ৪৫ দিন দায়িত্ব থাকছে প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী সহ অন্যান্য কোচিং স্টাফদের। তবে নতুন ভাবে কোচিং স্টাফ খোঁজার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
আজ (মঙ্গলবার) বিসিসিআই জানিয়েছে- হেড কোচ, ব্যাটিং কোচ, বোলিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ, ফিজিওথেরাপিস্ট, স্ত্রেংথ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ ও অ্যাডমিনিস্ট্রিটিভ ম্যানেজার- এই ৭ পদের জন্য আবেদন গ্রহণ করবে বিসিসিআই। যেখানে বর্তমানে এসব পদে যারা আছেন তাদেরকে আলাদা ভাবে আবেদন করতে হবে না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর (৩ আগস্ট- ৩ সেপ্টেম্বর) শেষে ভারতীয় কোচিং স্টাফদের নতুন করে নির্বাচনের রাডারে পড়তে হবে। বর্তমানে ভারতের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী, ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার, ফিল্ডিং কোচ আর. শ্রীধার। ট্রেনার শঙ্কর বসু, ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট ভারতের বিশ্বকাপ মিশন শেষেই দায়িত্ব ছেড়েছেন।
হেড কোচের পদে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর খেলতে হবে অন্তত ৩০ টেস্ট বা ৫০ ওয়ানডে। কোন টেস্ট খেলুড়ে দলের কোচ হিসাবে অন্তত দুই বছর বা কোন ‘এ’ দল/ আইপিএল দলের কোচ হিসাবে ৩ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ব্যাটিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ ও বোলিং কোচ- এই তিন পদের জন্য আবেদন করতে হলে অন্তত ২৫ ওয়ানডে বা ১০ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, বয়স হতে হবে ৬০ বছরের কম।
রবি শাস্ত্রীর অধীনে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স ছিলো চোখে পড়ার মতো ভালো। এই বছরেই প্রথম এশিয়ান দল হিসাবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিলো ভারত। এশিয়া কাপের শিরোপা নিজেদের শোকেসে রেখে দিয়েছিলো। অ্যাওয়ে সিরিজে হারিয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
যদিও শাস্ত্রী কোচ থাকাকালীন সময়ে ভারত কোন আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি। ২০১৭ সালে অনিল কুম্বলের কোচিং ক্যারিয়ার বিতর্কিত ভাবে শেষ হবার পর দায়িত্ব নিয়েছিলেন শাস্ত্রী। ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ভারতের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট ছিলেন শাস্ত্রী।
বিসিসিআই জানিয়েছে কোচিং স্টাফের পাশাপাশি দলের ম্যানেজার পদের জন্যেও তাজা আবেদন পত্র গ্রহণ করা হবে। ২০১৭ সালে এক বছরের চুক্তিতে দলের ম্যানেজার হয়েছিলেন সাবেক তামিল নাড়ু অধিনায়ক সুনীল সুব্রামানিয়ান। পরে তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিলো।
দুই এক দিনের মধ্যে সেই বিজ্ঞাপন পাওয়া যাবে বিসিসিআইয়ের ওয়েবসাইটে।