

প্রত্যাশা মোতাবেক পারফরম্যান্স হয়নি বিশ্বকাপে, চাকরি হারিয়েছেন ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডস। দিন কয়েক পরেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে দল, নিশ্চিত হয়নি কোচ। ফাঁকা জায়গাটার দায়িত্ব পড়ছে কার কাঁধে এমন প্রশ্নে বেশ গরম দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। ভারপ্রাপ্ত কোচের প্রসঙ্গ আসলেই যার নাম বেশি উচ্চারিত হয় সেই খালেদ মাহমুদ সুজন বলছেন স্বল্প মেয়াদের দায়িত্ব নিতে রাজি না, তবে দীর্ঘ মেয়াদে সুযোগ দিলে ছাড়তে পারেন বোর্ডের অন্য পদও।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘একের ভেতর অধিক’ বলা হয়ে থাকে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকে। বোর্ডে তার ভূমিকা নানারকমের, ২০১৭ সাল থেকে আছেন বোর্ডের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে, আন্তর্জাতিক ম্যাচে টাইগারদের নিয়মিত ম্যানেজার, জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের একজনও বলা যায় বোর্ডের এই প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে।
তবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ হিসেবে বেশ পরিচিত মুখ খালেদ মাহমুদ জানালেন কোচিং তার ভালোবাসার জায়গা। জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্বটা পাকাপাকি হলে সরে আসবেন বোর্ডে তার অন্যান্য ভূমিকা থেকে। এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘বোর্ড আমাকে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় কোচ করলে সরে আসবো বোর্ড পরিচালকের পদ থেকে।’
এর আগে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আকষ্মিক পদত্যাগে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পান সুজন। কিন্তু বোর্ড পরিচালক হওয়ার পাশাপাশি কোচ হওয়ার প্রথম নজির দেখিয়ে বেশ সমালোচিত হতে হয়েছে বিসিবি ও সুজনকে। স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্নে এবার দীর্ঘমেয়াদের দায়িত্ব পেলে রাজি আছেন বিতর্ক এড়াতে, ‘আগেরবার আমার বোর্ড পরিচালক হয়ে নিয়োগ নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে চারদিকে, তবে এবার লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পেলে বিতর্ক এড়াতে ওই পদ ছেড়ে দেওয়াই ভালো। আর একজন বোর্ডের কর্মকর্তা হিসেবে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়াও যায়না।’
একদিকে বোর্ড পরিচালক অন্যদিকে প্রধান কোচ, দায়বদ্ধতার জায়গাটায় বড়সড় ফারাক থেকেই যায়। এই বিসিবি কর্তা জানালেন এমন সমস্যা নিরসনেই নিজে থেকে সরে দাঁড়াবেন প্রধান কোচের দায়িত্ব পেলে, ‘আমাকে যখন লম্বা সময়ের জন্য কোচ করা হবে, তখন আমি আবার বোর্ডের কর্মকর্তাও আবার দায়বদ্ধতার বিষয়ও আছে। একজন পরিচালক হয়ে এটি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে, কোচিং আমার আবেগের জায়গা এরজন্য আমি অনেককিছু ছাড়তে পারি।’