


দ্যা ওভালের মেঘলা আকাশের নিচে টাইগারদের অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু দর্শনটা মোটেই সুখকর হলোনা। বোলারদের স্বর্গে অস্ট্রেলিয়া নেমেছিল চার পেসার নিয়ে। আর তাতেই নাস্তানাবুদ টিম বাংলাদেশ।
বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়ায় মাশরাফ বিন মর্তুজার পক্ষে হেসেছিল টসভাগ্য। আর তাতেই ব্যাটিং বেছে নিতে এক মুহূর্তও ভাবলেন না টাইগার দলপতি। তবে দলের প্রথম চারজন বায়টসম্যানের তিনজনেরই স্কোর ছিল ১০ রানের নিচে। সৌম্য সরকার ৩, ইমরুল কায়েস ৬ আর মিডল অর্ডারের স্বস্তি মুশফিকুর রহিমও এদিন ফেরেন মাত্র ৯ রান করেই।
সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তামিম ইকবাল এরপর শুরু করেন ইনিংস মেরামতের কাজ। দুজনের রসায়নটাও জমছিল বেশ। ৬৯ রানের জুটিতে বাংলাদেশ আবারও ফিরে পায় ভরসা। কিন্তু সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ২৯ আর দলীয় ১২২ রানে বিদায় নিলে আবারো বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

সাব্বির রহমান আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও দ্রুতই ফেরেন সাজঘরে। কিন্তু এক তামিম ইকবাল ছিলেন একদমই স্রোতের বিপরীতে। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের ম্যাচে বাংলাদেশী এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান একাই করেন ৯৫ রান। নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হয়ে স্টার্কের বলে ফিরে না গেলে হয়তোবা পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেখা পেতে পারতেন টানা দ্বিতীয় শতকের।
১১৪ বলে ৩ ছয় আর ৬ চারে তামিম ইকবালের ৯৫ রানের ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশ অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা থেকে বাঁচে। বাংলাদেশ দলের ইনিংসে নাভিশ্বাস তুলে দেয়া মিচেল স্টার্ক তার দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এসেই ৯ বলের ব্যবধানে শেষ চার উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে অলআউট করে দেন ১৮২ রানেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
বাংলাদেশঃ ১৮২/১০ (৪৪.৩ ওভার) তামিম ইকবাল ৯৫, সাকিব আল হাসান ২৯, মেহেদী হাসান মিরাজ ১৪, মুশফিকুর রহিম ৯, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৮, সাব্বির রহমান ৮। মিচেল স্টার্ক ৪/২৯, অ্যাডাম জাম্পা ২/১৩।