
বিচ্ছেদ কখনোই মধুর হয়না, আর দুর্ভাগ্যক্রমে আপনি যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোচ হয়ে থাকেন তাহলেতো কোন কথাই নেই। গর্ডন গ্রিনিজ থেকে স্টিভ রোডস, হাসিমুখে বিদায় মেলেনি কারোরই। গতবছর জুনে বাংলাদেশে এসেছেন দুর্দান্ত কিছুর স্বপ্ন নিয়ে, অথচ আজ বাংলাদেশ ছাড়লেন একদম নিরবে, নিভৃতে। সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেননি একটিও।

স্টিভস রোডসের সাথে চুক্তিটা আগামী বছর অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত হলেও চলতি বিশ্বকাপে টাইগারদের পারফরম্যান্সে যারপরানই হতাশ বিসিবি। ইংলিশ কন্ডিশনে বিশ্বকাপ বলে অনভিজ্ঞ হওয়া সত্বেও রোডসে বাজি ধরেছিল বিসিবি, বিশ্বকাপের আগে সফলতা মন্দ নাহলেও আসল মঞ্চেই মুখ থুবড়ে পড়ে রোডস বাহিনী।
বিশ্বকাপ হতাশার রেশ কাটাতে না কাটাতে চাকরীই হারিয়ে বসলেন সাকিব-মাশরাফিদের গুরু। তার এমন নিরবে চলে যাওয়া কেন? বিসিবি নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বললেন,’ এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবেই একটা সম্পর্কের বিচ্ছেদে নানা ব্যাখ্যা হয়, উনি হয়তো এসব ব্যক্তিগত ইস্যু এড়াতে চাইছেন।’
বিশ্বকাপের মাঝপথেই গুঞ্জন উঠেছে বিশ্বকাপের পরই চাকরী হারাবেন টাইগারদের প্রধান কোচ, চুক্তি নবায়ন হচ্ছেনা বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের। হয়েছেও তাই, তবে গতকাল (১০ জুলাই) আন্তঃ সংসদীয় বিশ্বকাপ খেলতে ইংল্যান্ডে অবস্থানরত বিসিবি সভাপতি কথা বলেছেন ভিন্ন সুরে। তার কথাতে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল শ্রীলঙ্কা সফরেও হয়তো কোচের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে সদ্য সাবেক হওয়া স্টিভ রোডসকে।
অথচ তার বক্তব্যের ২৪ ঘন্টা না পুরাতেই বাংলাদেশ ছাড়লেন রোডস। নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানালেন বিসিবি সভাপতির দেওয়া বক্তব্যের পরই রোডস আজই (১১ জুলাই) ইংল্যান্ডের বিমানে চড়ার সিদ্ধান্ত পাকা করেন,’ সমঝোতার মাধ্যমে এটি হচ্ছে আগেই আমরা বলেছি। কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে। বোর্ড সভাপতি এমনটাই বলেছেন, চূড়ান্তভাবে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত তারই (রোডস)। তিনি কবে যাবেন, কী করবেন সম্পূর্ণ তার ব্যাপার। আর উনার (সভাপতি) বক্তব্যের পরই রোডস সিদ্ধান্ত জানায় আজ যাবে। আমরাও রাতেই সভাপতিকে বার্তা পাঠিয়ে দিই।’
দীর্ঘ একবছর বিসিবি কার্যালয়, কর্মকর্তারা তার কত আপনজনই ছিল। অথচ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিসিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়া রোডস কবে ফিরে যাবেন সেটাও নিশ্চিতভাবে জানেনা বিসিবি, ‘ একটা আনুষ্ঠানিকতা ছিল। অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার কিছু আনুষাঙ্গিকতা ছিল। সেগুলোই শেষ করেছি আমরা। সম্ভবত আজই তিনি বাংলাদেশ থেকে চলে যাবেন।’