

ক্রীড়ামোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার খ্যাতি বহু পুরোনো, মাঠে বসে বাংলাদেশের খেলা দেখা তার নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। যেসব ম্যাচ মাঠে বসে দেখতে পারেননা দেখেন টিভির সামনে বসে হলেও, নিয়মিতই ক্রিকেটারদের সাথে খেলাশেষে ফোনালাপে দেন উৎসাহ। চলতি বিশ্বকাপে নাজুক পারফরম্যান্সে সমালোচনার তীরে যখন কোনঠাসা ক্রিকেটাররা, ঢাল হিসেবে সামনে দাঁড়ালেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী। সাকিব-মুশফিকদের প্রশংসায় ভাসিয়ে দিলেন ভবিষ্যতে আরও ভালো করার প্রেরণা।

গত শুক্রবার (৫ জুলাই) পাকিস্তানের বিপক্ষে লর্ডসে ৯৪ রানে হেরে চলতি বিশ্বকাপের ইতি টানে টাইগাররা। দেশে ফেরে রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে, শেষ চারে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দেশে ফেরে একরাশ হতাশা নিয়ে। ৯ ম্যাচে মাত্র ৭ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্টে ১০ দলের মধ্যে ৮ম হয়েই টুর্নামেন্ট শেষ হয় বাংলাদেশের।
চারদিকে সমালোচনার ছড়াছড়ি, কাটাছেড়া হচ্ছে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স, কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকেও। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগলে রাখছেন ক্রিকেটারদের। তার মতে টুর্নামেন্ট থেকে শুধু বাংলাদেশ নয় ছিটকে গেছে আরও কয়েকটি দল, দোষ দিলে তাদেরও দেওয়া হোক, “এখানে দোষের কিছু নেই, দোষ দিলে সেমিতে যাওয়া চারদল ছাড়া বাকিদেরও দিন। শুধু বাংলাদেশকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই।”
সবসময় মাশরাফিদের সমর্থন দেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও যোগ করেন, “আমি তাদের কখনো নিরুৎসাহী করিনা বরং ফোন করে বলি তোমরা ভালো খেলছো, খেলে যাও। ৩৮১ রান তাড়া করতে নেমে ৩৩৩ রান করলো, কীভাবে তাদের খারাপ বলবেন? আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেনা।”
এদিকে টুর্নামেন্টজুড়ে আলো ছড়ানো সাকিব আল হাসান ও উইকেট শিকারে উপরের দিকে থাকা মুস্তাফিজুর রহমানের আলাদা করে প্রশংসা করার পাশাপাশি দেশনেত্রী প্রশংসা করেছেন টাইগারদের লড়াকু মানসিকতার, “আমাদের কিছু খেলোয়াড় বিশেষকরে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্বে একটা অবস্থান তৈরি করেছে। আমি দোষ দিবনা, খেলায় অনেক সময় ভাগ্যের সাহায্যও লাগে। সবসময় সবকিছু যে ঠিকঠাক হবে তা কিন্তু নয়। ক্রিকেটাররা যে পরিস্থিতি সাহসীকতার সাথে মোকাবেলা করেছেন এটা প্রশংসনীয়।”