
ক্রিকেট মানেই একটা সময় সাদা পোশাকের টেস্ট ক্রিকেটকে বোঝাতো। টেস্ট ক্রিকেটের রোমাঞ্চে বুঁদ হত কোটি ক্রিকেট ভক্ত। অথচ দিনে দিনে জৌলুশ হারাতে বসেছে ক্রিকেটের এই ঐতিহ্যবাহী সংষ্করণটি, তবে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের ভরা উন্মাদনায় টেস্ট বাঁচাতে কম চেষ্টা করছেনা ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আগেই ঘোষণা করা হয়েছে আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজেই যোগ হচ্ছে ক্রিকেটারদের টি-শার্টের পেছনে নাম ও নম্বর। এর আগেই অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল তাদের চলমান ইংল্যান্ড সফরে গায়ে চাপিয়েছে নাম-নম্বর সম্বলিত টি-শার্ট।
টেস্ট ক্রিকেটকে দর্শকের কাছে আরও জনপ্রিয় করতে আইসিসি নিয়েছে অনেক উদ্যোগ, যার মধ্যে দিবারাত্রির টেস্ট, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ, সাদা পোশাকেও নাম-নম্বর ইত্যাদি অন্যতম। দিবারাত্রির টেস্ট আগেই চালু হয়েছে, বিশ্বকাপের পরই শুরু হচ্ছে দুইবছরব্যাপী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ যার প্রথম সিরিজ হবে অ্যাশেজ।
টেস্ট জার্সিতে নাম-নম্বরও চালু হচ্ছে ১ আগস্ট শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজ দিয়ে। অ্যাশেজ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল ইতোমধ্যে অবস্থান করছেন ইংল্যান্ডেই। কাউন্টি দলগুলোর সাথে অংশ নিচ্ছেন চারদিনের ম্যাচে, যে দলের বেশিরভাগ সদস্যই অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ স্কোয়াডে থাকবেন। তিনটি চারদিনে ম্যাচের প্রথমটি গতকাল(৭ জুলাই) অরনডেলে সাসেক্সের বিপক্ষে মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল।
টস জিতে ব্যাটিং করতে যাওয়া সাসেক্সের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে নামতেই অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের খেলোয়াড়দের পরিহিত টি-শার্টের পেছনে গাড় সবুজ রঙে নাম ও জার্সি নম্বর দেখাচ্ছিল উজ্জ্বলভাবে। ঠিক এই আদলেই ১ আগস্ট বার্মিংহামে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট থেকেই ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া দু দলের জার্সিতে থাকবে নাম ও নম্বর। ফলে এ দুদলই হবে ইতিহাসের প্রথম সাদা পোশাকে নাম-নম্বর সম্বলিত আন্তর্জাতিক টেস্ট খেলা দল। যদিও দু দলই ঘরোয়া সাদাপোশাকের ম্যাচে ব্যাপারটির সাথে আগে থেকেই পরিচিত।
টিভিতে খেলা দেখা দর্শকদের জন্য খেলোয়াড় চেনা সহজ হলেও মাঠে থাকাদের জন্য ব্যাপারটি অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। রঙ্গিন পোশাকে নাম-নম্বর কয়েক দশক ধরেই আকর্ষনীয় করে আসছে ওয়ানডে ও এক যুগ আগে চালু হওয়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে। এবার টেস্টেও মাঠের দর্শকদের ভোগান্তি কমবে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের ব্যাটসম্যান ট্রেভিস হেড।
অজিদের হয়ে ৬২ নম্বর জার্সি পরা হেড বলেন “ অবশ্যই এখন টিভিতে বেশ বিস্তারিত উঠে আসে যা সত্যি চমৎকার। তবে যারা মাঠের দর্শক তাদের জন্য এখন কাজটা(খেলোয়াড় সনাক্তকরণ) আরও সহজ হবে। বিশেষ করে লাইভ স্ট্রিমিং হওয়া ম্যাচগুলোতেও দর্শকদের উপকৃত করবে এটি।” প্রসঙ্গত অস্ট্রেলিয়ানরা ঘরোয়া দলগুলোতে এমন জার্সি পরলেও ‘এ’ দলের হয়ে এমন জার্সিতে মাঠে নেমে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে প্রথমবারের মত ।