

সেমিফাইনালের আশা নিয়ে শুরু করলেও দ্বাদশ বিশ্বকাপের লিগ পর্ব থেকেই শেষ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপ মিশন সমাপ্তি দিয়ে আজ দেশেও ফিরেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে পাঁচে আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে আটে নেমে গেল বাংলাদেশ। মাশরাফির বিন মর্তুজার মতে, সেমিতে না যেতে পারায় ৫-ও যা, ৮-ও তাই!

সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়েই আশার বেলুন ফুলিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। টেবিলে এখন অবশ্য প্রোটিয়াদের সমান ৭ পয়েন্টই বাংলাদেশেরও। তবে রানরেটে পিছিয়ে টেবিলের আটে থেকে বিশ্বকাপ শেষ হল টাইগারদের। সাকিব এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মুখ, দলের বড় বিজ্ঞাপন। কী দুর্দান্ত গেল টুর্নামেন্ট, অথচ তাঁর দল দেশের ফিরছে পয়েন্ট তালিকার নিচের দল হিসেবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশ আটে থেকে শেষ করেছে বিশ্বকাপের মিশন। নিজেদের এমন অবস্থায় কি দেখতে চেয়েছিল বাংলাদেশ? অধিনায়ক মাশরাফির চোখে সেমিফাইনাল খেলতে না পারলে পাঁচ কিংবা আট এই অবস্থান গুলোর মূল্য একই,
‘পাঁচে যাওয়ার সুযোগ ছিল শেষ পর্যন্ত। তার মানে সে ম্যাচ জিতলে পাঁচে থাকতাম। আমাদের, সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের আশা ছিল চারের ভেতর থাকা। শেষ ম্যাচ জিতলে পাঁচে থাকতাম, সেটা শুনতে ভালোই লাগে। কিন্তু চারে যদি না থাকতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপ তো ওখানেই শেষ।’

দলের তরুণ ক্রিকেটারদের হয়ে কথা বললেন মাশরাফি,
‘তরুণদের সব সময় এক নাগাড়ে দোষারোপ করা হয়। আজ যারা সিনিয়র, তারাও কিন্তু এক সময় তরুণ ছিল। তাদেরও হয়তো ধারাবাহিকতা ছিল না। তরুণেরা তো ধারাবাহিকভাবে খেলছে এবং এত চাপের মধ্যে খেলছে, যেটা আমরা তরুণ অবস্থায় খেলিনি। তাই তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তারাও অনেক চেষ্টা করেছে। স্টেজটা অনেক বড়, এত সহজ না। আমি আশা করি সাকিব, তামিম, মুশফিকেরা যে পর্যায়ে আছে, এরাও সেখানে একদিন যাবে।’