

‘জিতলে তালি হারলে গালি’ এমন একটা রেওয়াজ বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিয়মিত ঘটনা। দেশের ক্রিকেটের উন্নতির সাথে সাথে দেশের জনগণের প্রধান বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে ক্রিকেট, দলের প্রতি তাদের প্রত্যাশাও আকাশচুম্বী। ক্রিকেটাররা কখনো এই প্রত্যাশা পূরন করতে পারেন কখনো পারেননা।কিন্তু ভালো করলে যেরকম প্রশংসা পান খারাপ হলেই এরচাইতে বেশি তোপের মুখে পড়েন। একারণেই সমর্থকদের নিয়ে আলাদা কিছু বলতে নারাজ সাকিব আল হাসান।
আর এ ব্যাপারটি সাকিবের চাইতে বেশি কারো জানাও নয়। চলতি বিশ্বকাপে নিজে ব্যাটে– বলে দুর্দান্ত করে প্রশংসা কুড়ালেও দলের পারফরম্যান্সে হতাশ ভক্ত সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সবজায়গাতেই মুন্ডুপাতের শিকার হচ্ছেন তামিম-মাশরাফিরা। তবে নিজের রেকর্ডময় এক টুর্নামেন্টে সাকিব নিজেই তাকে নিয়ে সমালোচনার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
এদিকে দলের বাজে সময়েও ইংল্যান্ডের ৮ টি ভেন্যুতেই ঘুরে ঘুরে দলকে সমর্থন দিয়ে গেছে বাংলাদেশীরা। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পরেও মাশরাফিরা ভালো কিছু উপহার দিবে এমন আশায় গ্যালারিতে গলা ফাটিয়েছে টাইগার সমর্থকরা। সাকিব আল হাসান বলছেন তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই এমন সমর্থনের মূল কারণ। সমর্থকদের সমর্থন কতটা নিখাদ বোঝা যাবে খারাপ খেললেই, মত সাকিবের।
নিজের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সমালোচনার সাথে একটা মধুর সম্পর্ক সাকিবের, পান থেকে চুন খসলেই তাকে ধুয়ে দিয়েছে দেশের তথাকথিত ক্রিকেটভক্তরা। ফলে সাকিবের চাইতে এসব ব্যাপার বেশি জানেনা দলের অন্য কেউই, এইতো বিশ্বকাপ শুরুর আগেই জার্সি ইস্যু, আইপিএল ইস্যুতে কতটা সমালোচিত হয়েছেন তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।

টুর্নামেন্টে রেকর্ডের পর রেকর্ড করে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত সাকিব জবাব দিয়েছেন মাঠেই, চারদিকে সমালোচনার নেই বিন্দু পরিমাণ রেশ। মাত্র কদিনের ব্যবধানেই এমন পরিবর্তিত আচরণেই হয়তো সাকিবের মনে এখন নিখাদ সমর্থন নিয়ে সন্দেহ, “ আসলে এটা নিয়ে কি বলবো? পুরোটা সময় তারা সমর্থন দিয়েছে, পারফরম্যান্স ভালো হওয়াটা এটার পেছনে মূল কারন। তবে পারফরম্যান্স খারাপ হলে কেমন আচরণ হয় ওটার উপরই নির্ভর করে সমর্থকদের নিয়ে কিছু বলা!”
তিনি ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে ছিলেন সেরা কিন্তু ব্যাটে-বলে হতাশ করা সতীর্থরা আবার ফিল্ডিংয়েও করেছেন হতাশ। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ইনিংসের শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারের, ভারতের বিপক্ষে রোহিত শর্মার ক্যাচ মিসের খেসারত দিতে হয়েছে দুহাতভরে। সাকিব সমস্যা দেখছেন কোথায় এমন প্রশ্নে এড়িয়ে গেলেন সংবাদমাধ্যমকে, “ জানিনা । তবে আমার যা ধারণা, পরিকল্পনা তা এখানে বলতে চাচ্ছিনা। এটা ড্রেসিংরুম কিংবা আমাদের টিম মিটিংয়ে বলার সুযোগ পেলে সেখানেই বলবো।”