
৪ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান নিয়ে ১ম দিনের খেলা শেষ করেছিলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বৃষ্টি বাঁধায় কয়েক দফা খেলা বন্ধ থাকার দিনে খেলা হয়েছিলো মাত্র ৩৫ ওভার। দ্বিতীয় দিনে এসে খেলা চলেছে বেশ ভালোভাবেই।

কোনমতে ২৫০ রানের গন্ডি পার করে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। একপ্রান্ত আগলে রাখা এনামুল হক বিজয় ইনিংস বড় করতে পারেননি সঙ্গীর অভাবে।
আগের দিন ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন এনামুল হক বিজয়। ৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। চার দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে এসে ফিফটি পূর্ন করেন আফিফ। ৯৯ বলে ৮ চারে ঠিক ৫০ রান করে কায়েস আহমেদের বলে আউট হন তিনি। দলের রান তখন ১৯৭। স্কোরবোর্ডে আরো ৩ রান যোগ হবার পর সাজঘরের পথ ধরেন ১ রান করা তানবীর হায়দার।
সানজামুল ইসলাম বিজয়কে সঙ্গ দেবার আভাস দিলেও রান আউট হন ব্যক্তিগত ৬ রানের মাথায়। কামরুল ইসলাম রাব্বি (১), সুমন খান (০), সালাহউদ্দিন শাকিল (২)- লেজের ব্যাটসম্যানরা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ‘এ’ দল অলআউট হয় ২৫৩ রান করে। ২০৫ বল উইকেটে থাকা এনামুল হক বিজয় তখনো ১২১ রান করে অপরাজিত। মেরেছেন ১৪ চার, ২ ছয়।
আফগানিস্তান ‘এ’ দলের হয়ে ইয়ামিন আহমেদজাই ও কায়েস আহমেদ ৩ টি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন নাভিনুল হক মুরাদ।
এর আগে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ইমরুল কায়েস আউট হয়ে ফিরলেন কোন রান না করে। একই ওভারের শেষ বলে জাকির হাসান আউট হলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে চারে নামা রাকিবুল হাসান আউট হন ব্যক্তিগত ৪ রানে। ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশ এ দল খেলায় ফেরে নাইম-বিজয়ের ৫০ ছাড়ানো জুটিতে।
দল যখন চরম বিপর্যয়ে ঠিক তখন নাঈম শেখের সঙ্গে দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ এনামুল হক বিজয়। দুইজনের ১০২ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় কেটে ওঠে টাইগাররা। তবে ব্যক্তিগত ৪৯ রানেই সাজ ঘরে ফিরেন ওপেনার নাঈম শেখ। এনামুল হক বিজয় ও তরুণ নাঈম শেখের দৃঢ়তায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে।