

আগামীকাল শুক্রবার লর্ডসে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। শেষ চারে না থাকাই এই ম্যাচই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বিশ্বকাপ শুরুর আগে বলেছিলেন এই বিশ্বকাপই মাশরাফির শেষ বিশ্বকাপ। তবে শেষ বিশ্বকাপ হলেও আগামীকাল লর্ডসেই কি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন মাশরাফি? নাকি দেশের মাটিতে; কোন একদিন মিরপুর হোম অফ ক্রিকেটে ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন মাশরাফি? এই প্রশ্নবোধক চিহ্নটার উত্তর হয়তো আসবে কাল ক্রিকেটের তীর্থ-স্থান লর্ডসে।
আগামীকাল লর্ডসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটাই মাশরাফির ক্যারিয়ারে যতি চিহ্ন এঁকে দিতে পারে! যদিও এখন পর্যন্ত তা সম্ভাবনার অঙ্কেই বিরাজ করছে।
আগামীকাল লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাশরাফি অবসরের সিদ্ধান্ত না নিলে; খেলায় থেকে অবসরের জন্য মাশরাফির অপশন সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। চলতি মাসেই শ্রীলঙ্কা সফরে তিনটি ওয়ানডে খেলতে যেতে পারে বাংলাদেশ। ওই সিরিজে ইতি টানতে পারেন মাশরাফি। কারণ তারপর দেশের মাটিতে দেড় বছর কোনো ওয়ানডে নেই বাংলাদেশের। আবার বিশ্রামের জন্য শ্রীলঙ্কা সফরে তিনি খেলবেন কিনা, নাকি বিশ্বকাপেই বিদায় বলবেন, সেই আলোচনাও হচ্ছে। এই চিন্তার মূলে আসলে মাশরাফির হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট। পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না বলে চোট ভালো হচ্ছে না। অনেক দিন ধরেই হ্যামস্ট্রিং ভোগাচ্ছে তাকে। এই চোট নিয়ে লঙ্কা সফরেও কতটা ভালো করতে পারবেন তা ভাবনার বিষয়। জানা যায়, মাশরাফি শ্রীলঙ্কা সফরে নাও যেতে পারেন।
চলতি বিশ্বকাপ থেকে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। এটাই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ বিশ্বকাপ। আগে শোনা গিয়েছিল, বিশ্বকাপ খেলেই হয়তো অবসরে যাবেন ম্যাশ। তবে টুর্নামেন্টের মাঝেই তিনি আরও ওয়ানডে খেলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এটা মাশরাফির নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা যে তিনি রাঙাতে পারেননি, এটা সত্যি।
এবারের বিশ্বকাপটা একেবারেই ভালো যায়নি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। অনেকেই তাঁর শেষ দেখে ফেলেছেন। কার্ডিফে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু দিয়েছিলেন মাশরাফি। ৭ ম্যাচে যে ২৯৪টি বল করে ওই একটি উইকেটই মাশরাফির প্রাপ্তি। রান দিয়েছেন ৩১৫।