
ভারতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আম্বাতি রায়ডু ঘোষণা দিলেন সবধরণের ক্রিকেট ছাড়ার। ক্রিকেট থেকে তার এই অবসর যে অভিমানে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। হতে পারতেন দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ১৫ সদস্যের একজন, অদ্ভুতভাবে বাদ পড়লেন। ছিলেন স্ট্যান্ড বাই , চোটের আঘাতে ছিটকে গেছে দুই ব্যাটসম্যান তবুও মেলেনি স্বপ্নের বিশ্বকাপ দলে জায়গা। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশটা ক্যারিয়ারে যতি টেনেই উগরে দিলেন এই ব্যাটসম্যান।

ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বর পজিশনে দুর্দান্ত করা আর সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় আম্বাতি রায়ডুর বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া ছিল অনেকটা নিশ্চিত। বিজয় শংকরকে জায়গা দিতে শেষ মুহুর্তে বাদ পড়লেন রায়ডু। এ নিয়ে বেশ হতাশায় পুড়েছেন রায়ডু যদিও শেষদিকে জায়গা মিলে স্ট্যান্ড বাই তালিকায়। অথচ ইনজুরিতে শিখর ধাওয়ান, বিজয় শংকরের চোটে পড়ে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরও বিবেচনায় আসেনি রায়ডু।
৫৫ ওয়ানডেতে ৪৭.০৫ গড়ে ১৬৯৫ রান করা রায়ডুকে বাদ দিয়ে মাত্র ৯ ওয়ানডে খেলা বিজয় শংকরকে রাখা নিয়ে ভারত জুড়েই হয়েছে সমালোচনা। অনভিজ্ঞ বিজয় শংকরকে দলে ভেড়ানোর যুক্তি হিসেবে প্রধান নির্বাচক বলেছেন ব্যাট, বল, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই বিজয় শংকর পটু বলেই তাকে নেওয়া। অথচ চলতি বিশ্বকাপে প্রত্যাশার ছিটেফোঁটাও বাস্তবে রুপ দিতে পারেননি। সুযোগ পাওয়া তিন ম্যাচে রান ৫৮!
এদিকে স্ট্যান্ড বাই তালিকায় ছিলেন, চোটে পড়ে বিশ্বকাপ শেষ হয় শিখর ধাওয়ানের। ভারতীয় দলের এই ওপেনারের বিকল্প হিসেবে রায়ডু ভেবেছেন এবার অন্তত ডাক পড়বে। না, দলের সাথে যোগ দিলেন রিশাব পান্ট। যাকে সুযোগ দিতে তার বাদ পড়া সেই বিজয়ও নেটে বুমরাহকে খেলতে গিয়ে পড়লেন চোটে, ছিটকে গেলেন বিশ্বকাপ থেকেই। খালি চোখে রায়ডুর ডাক পড়া নিশ্চিত।
তবে এবারও নির্বাচকরা অবহেলার চোখেই রাখলেন ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকে। ২০১৩ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া রায়ডু দলের চার নম্বর পজিশনেই খেলেছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ। দীর্ঘদিন এই পজিশনে যোগ্য কাউকে খুঁজে পায়নি ভারত, ২৪ ম্যাচে ৪১.৬৬ গড়ে ৯৫৯ রান করা রায়ডু হয়ে উঠেছিলেন উপযুক্তই। অথচ বিজয় শংকরের চোটেও জায়গা মিলেছে এখনো ওয়ানডে অভিষেকই না হওয়া মায়নক আগারওয়ালের।
এবার আর সহ্য করতে পারেননি রায়ডু, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সূত্র বলছে এরই মধ্যে অবসরের ঘোষণা দিয়েও ফেলেছেন এই ক্রিকেটার। অথচ এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতেই গতবছর ১৭ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকেও জানিয়েছেন বিদায়। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, বছর না ঘুরতে অভিমানে সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই ছেড়ে দিতে হল রায়ডুকে। সূত্রমতে আইপিএল খেলারও কোন সম্ভাবনা নেই তার।