

পায়ের দুটো আঙ্গুল নেই তবুও ব্যাট হাতে বোলারদের শাসন করছেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল। ক্যান্সার যুদ্ধে জয়ী হয়ে ২২ গজে রাজত্ব করা যুবরাজ সিংয়ের গল্পতো সবারই জানা। গতকাল (১জুলাই) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানও জয় করে এসেছেন এমনই এক যুদ্ধ।
২৩ বছর বয়সী ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ২০১৫ সালে মারাত্মক সড়ক দূর্ঘটনায় হারাত্রি বসছিলেন পা দুটো। সেন্ট মেরিসে সে দূর্ঘটনায় চিকিৎসক তাকে জানিয়েই দিয়েছিল তার পা দুটো হয়ে যাবে অকেজো। সেই পরিস্থিতি থেকেই উঠে এসে নিকোলাস পুরান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করছেন জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব।
What a powerful day for @nicholas_47 … Early in 2015 a car accident left him wondering if he would ever walk again let alone play cricket. It took him 7 months to walk unassisted. He had to learn how to walk again. Now he has scored his maiden ODI century. #???? pic.twitter.com/osVwwRLHMC
— Mike Haysman (@MikeHaysman) July 1, 2019
স্কুল ক্রিকেট দিয়ে ক্রিকেটে পা দেওয়া নিকোলাস বয়সভিত্তিক থেকেই রেখে আসছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই জায়গা করে নেন অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। ২০১৩ সালে সিপিএলের প্রথম আসরে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই রেড স্টিলের হয়ে খেলে গড়েন সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলার রেকর্ড। ২০১৪ সাল পর্যন্ত অক্ষুণ্ণ ছিল এই রেকর্ড।
ইতোমধ্যে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে। খেলে ফেলেছেন আইপিএল, সিপিএল, বিপিএল, কানাডার গ্লোবাল টি-২০, পিএসএল এর মত ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হওয়া পুরান চলতি বছর প্রথম ওয়ানডেতে ডাক পান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, এরপরতো জায়গা মেলে বিশ্বকাপ স্কোয়াডেই। আর গতকাল (১ জুলাই) চেস্টার লি স্ট্রিটে খেলে ফেললেন অসাধারণ এক ইনিংসও।
‘When i woke up in Hospital, both my legs were in casts. I couldn’t feel them at all. doctor told me he wasn’t sure if i could play cricket again. Nicholas Pooran was in a car crash in 2015 that nearly ended his cricket career. scored a sensational WC century in 2019 @nicholas_47
— Daniel Alexander (@daniel86cricket) July 2, 2019
অথচ ২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের কদিন পরই ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সড়ক দূর্ঘটনায় পা দুটোই পড়ে গিয়েছিল শঙ্কায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” আমি যখন হাসপাতালে চিকিৎসকের মুখোমুখি হই তিনি আমাকে বললেন আমার পা দুটো আর ঠিক হবেনা। আমিও হতাশ হই কারণ সত্যি সত্যি আমিও পায়ে কোন অনুভূতি পাচ্ছিলাম না।” এমন জটিল অবস্থা থেকে ২২ গজে ফেরা, বিশ্বকাপে দলের হয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানো সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। যদিও শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তার ১০৩ বলে ১১৮ রানের ইনিংসটি গিয়েছে বৃথা, নিয়মরক্ষার ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছে ২৩ রান।