

সম্প্রতি ভারত –বাংলাদেশ ম্যাচ যেন অদৃশ্য এক যুদ্ধ জয়ের লড়াই। বিশেষ করে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে যাওয়ার পর থেকেই দু দেশের ভক্ত-সমর্থকদের কাদা ছোঁড়াছুড়ি লেগেই আছে। দু দলের প্রতিটি ম্যাচের আগে পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সয়লাব হয়ে ওঠে ভক্তদের পক্ষ বিপক্ষে যুক্তিতে, কখনো ছাড়িয়ে যায় সীমা, সৃষ্টি হয় দৃষ্টিকটু বিষয়ের। বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বলছেন এসব কাম্য নয়, দু দেশের সম্পর্কের উন্নতিতেও এসব হতে পারে বাধা।

গত কয়েক বছরের ক্রিকেটীয় উত্তেজনার দিক থেকেও বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ পেয়েছে বেশ ভালো মাত্রা। দু দলের ক্রিকেট মাঠের লড়াইটাও জমে ওঠে তবে সব ছাড়িয়ে সমর্থকদের অতি রঞ্জিত আবেগ কখনো কখনো ক্রিকেটারদের চোখেও পড়ে।
পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও রক্তে মাংসের মানুষ বলে আবেগ কখনো কখনো তাদেরও ছুঁয়ে যায়। নিজ দেশের সমর্থকদের বাড়াবাড়ি বিশ্ব দরবারে নিজেদের করে লজ্জিত। চলতি বিশ্বকাপে আজ (২ জুলাই) এজাবস্টনে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ। সেমির স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে যে ম্যাচে বাংলাদেশের নেই জয়ের বিকল্প।
এমন ম্যাচ সামনে রেখে মাশরাফি বলছে উত্তেজনা থাকুক তবে সেটা যেন কোনভাবেই সীমা ছাড়িয়ে না যায়। ‘উত্তেজনা থাকবেই তবে সেটা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবেনা যদি সীমা অতিক্রম করে কিংবা কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ঠাট্টা, বিদ্রুপ এড়িয়ে যাওয়া একজন ক্রিকেটারের জন্য অনেক কঠিন, ক্রিকেটাররা এসব এড়াতে যতই চেষ্টা করুক। ক্রিকেটাররাও মানুষ।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালো-মন্দ আচরণই বিশ্বের কাছে দেশ সম্পর্কে বার্তা দেয় উল্লেখ করে টাইগার দলপতি আরও যোগ করেন, ‘এটা (বাজে আচরণ) দু দেশের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে, এছাড়া আমাদের দেশ সম্পর্কেও ভালো কোন বার্তা পাঠায় না। দু দলই ম্যাচটি জিততে চাইবে। আমাদের সমর্থকদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা আমাদের সাথে আছে তবে চাইবো সেটা যেন নোংরামিতে পরিণত না হয়। মাথায় রাখতে হবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কিছু করা যাবেনা।’