

সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল মালিঙ্গা-ম্যাথিউসরা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবশেষে শ্রীলংকার জয়। উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৩৮ রানের পাহাড় গড়েও বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল লংকানরা। তবে শেষ দিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বোলিং নৈপুণ্যে ২৩ রানে ম্যাচ জিতে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান আভিস্কা ফার্নান্দো।
বিশ্বকাপ থেকে ইতোমধ্যে ছিটকে পড়েছ দুটি দলই। তাই ম্যাচটি নিয়ে নেই কোনো বেশ উত্তেজনা। এমন নিরুত্তাপ ম্যাচেও উত্তাপ আনলো শ্রীলঙ্কা।
৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের আগে ৬ নম্বরে উঠে আসলো লঙ্কানরা। ৮ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান পাঁচে।
রানের পাহাড় ডিঙিয়ে জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হবে। ৩৩৯ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লাসিথ মালিঙ্গার বোলিং তোপের মুখে পড়ে ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা।
শেষ দিকে জয়ের জন্য ১৮ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। খেলার এমন অবস্থায় আউট হয়ে ফেরেন নিকোলাস পুরান। তার বিদায়ে জয়ের স্বপ্ন আবারও ভেঙে যায় উইন্ডিজের।
এর আগে চেস্টার লি স্ট্রিটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ৩৩৮ রানের পাহাড় গড়ে শ্রীলঙ্কা। দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন দিমুথ করুনারত্নে এবং কুসল পেরেরা। ৪৮ বলে ৩২ রান করা করুনারত্নে জেসন হোল্ডারের শিকার হলে ভাঙে ৯৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। হাফ সেঞ্চুরিয়ান কুসল পেরেরাও রান-আউট হয়ে ফিরেন ৬৪ রান করে। ৩৯ রান করা কুসল মেন্ডিসকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে দেন ফ্যাবিয়ান অ্যালান। অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (২৬) ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।
অন্যদিকে রানের চাকা সচল রাখেন তিন নম্বরে নামা অভিস্কা ফার্নান্দো। ৫৭ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় এবং চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। এখানেই থেমে থাকেননি ২১ বছর বয়সী এই তরুণ। ক্যারিয়ারের মাত্র ৯ম ওয়ানডেতে ঠিক ১০০ বলে ৮ চার ২ ছক্কায় তিনি তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত ১০৪ রানে তাকে আউট করেন কটরেল। শেষদিকে হাত খুলে খেলতে থাকেন লাহিরু থিরিমান্নে। সকলের সম্মিলিত অবদানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩৩৮ রান। থিরিমান্নে ৩৩ বলে ৪৫* রানে অপরাজিত থাকেন।