

ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য পাক্কা ৫ ঘন্টা। ইংল্যান্ডে ম্যাচ শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ১০ঃ৩০ এ। বাংলাদেশে তখন বিকাল ৩ঃ৩০। সময়ের হেরফেরে বোঝা যায় দুই দেশের দুরত্বটাও। তবে ভালোবাসা যখন বাঁধনহারা হয়, তখন এসব দুরত্ব বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।
এমনিতে বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ডের মাটিতে যখন খেলছে তখন গ্যালারি সয়লাব লাল সবুজের পতাকাতে। ইংল্যান্ড প্রবাসীরা তো বটেই, দেশ থেকেও অনেকেই গেছেন টাইগারদের সমর্থন যোগাতে। যারা ইংল্যান্ডে যেতে পারেননি তাঁদের পক্ষে টাইগারদের কাছে ভালোবাসা পৌছানোর গুরুদায়িত্ব নিয়েছিলেন ক্রিকেট ভক্ত রাবেত খান।
সাত সমূদ্র তেরো নদী পার করে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া টাইগারদের শুভকামনা জানানোর এক অভিনব উদ্যোগ নেন রাবেত খান। সমর্থকদের হাতে লেখা চিঠি (টাইগারদের শুভকামনা জানিয়ে) ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেন তিনি। বিভিন্ন স্কুল, অফিস, বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে প্রায় ৫০০০ হাতে লেখা শুভকামনা জানানো চিঠি যোগাড় করে ডিএইচএলে করে ইংল্যান্ডে পাঠান তিনি। বক্সের ওজন হয় প্রায় ২০ কেজি।
ছবিঃ শহিদুল আলম রতনের ফেসবুক থেকে
চিঠিগুলো ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশ দলের নিকট পৌঁছে দেবার কাজটি করেন বিশিষ্ট ক্রিকেট সংগঠক ও কোচ শহিদুল আলম রতন। লন্ডন থেকে ৪১০ কিলোমিটার রাউন্ড ট্রিপে যেয়ে দলের নিকট চিঠিগুলো পৌঁছে দেন তিনি। ক্রিকেট৯৭ এর সাথে ফোনালাপে অবশ্য শহিদুল আলম রতন নিজেকে ক্রিকেট ভক্ত হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। জানিয়েছেন একজন ক্রিকেট সমর্থক হিসাবেই রাবেত খানের এই অভিনব উদ্যোগকে সফল করার কাজটি করেছেন তিনি।
দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন, মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম, বিসিবি পরিচালক আকরাম খান কিছু চিঠি পড়ে দেখেন।
৫০০০ চিঠির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু চিঠি ড্রেসিংরুমে লাগিয়ে রাখা হবে। দলের মিটিংয়ে পড়ে শোনানো হবে বেশ কিছু চিঠি। টাইগাররা এই ভালোবাসা পেয়ে আরো ভালো পারফরম্যান্স করার প্রেরণা পাবেন এটাই সকল ভক্ত-সমর্থকের চাওয়া।